মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা হল ১১। তবে এখনও অভিযুক্ত মূল শুটারকে ধরতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁর এবং আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
বুধবার হরিয়ানা থেকে ২৯ বছরের যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁর নাম অমিত হিসামসিংহ কুমার। সিদ্দিকি খুনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহের তালিকায় ওই যুবকের নামও ছিল। বুধবার হরিয়ানায় নিজের এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে গত রবিবার সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় দশম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নভি মুম্বই থেকে। সেই ভগবত সিংহ ওম সিংহ রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা। খুনিদের তিনিই অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন বলে অভিযোগ।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পুত্র তথা বিধায়ক জ়িশান সিদ্দিকির দফতরের সামনে খুন হন বাবা। তিন জন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁরা গুরমেল সিংহ এবং ধরমরাজ কাশ্যপ। কিন্তু এক জন শুটার এখনও পলাতক। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, তাঁর নাম শিবকুমার গৌতম। তিনিই এই হত্যাকাণ্ডের মূল শুটার ছিলেন। অর্থাৎ, সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী গুলিটি চালিয়েছিলেন তিনিই। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ ছাড়াও আরও দু’জনকে পুলিশ খুঁজছে। খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে তাঁদেরও ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। এখনও পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অমিত, গুরমেল, ধরমরাজ, ভগবত ছাড়াও রয়েছেন নিতিন গৌতম সাপরে, শম্ভজি কিষাণ পারদি, প্রদীপ থোম্ব্রে, চেতন দিলীপ পারদি, রাম ফালুচাঁদ কনৌজিয়া।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিন্রাজ্য থেকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভাড়াটে খুনিদের আনা হয়েছিল। টাকা নিয়ে ঝামেলাও হয় তাঁদের মধ্যে। খুনের আগে দিনের পর দিন মহড়া দিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। নিয়েছিলেন অগ্রিমও। ১২ তারিখ দশেরার অনুষ্ঠানে বাজি ফাটানোর সময় সিদ্দিকিকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।