—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নিজস্বী তোলার অজুহাতে গোদাবরী নদীর উপরে একটি সেতুর উপরে গাড়ি থামিয়েছিলেন মায়ের লিভ ইন সঙ্গী। তবে নিজস্বী তোলার সময় মা-বোনের সঙ্গে তাকেও ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দেন তিনি। কোনও রকমে সেতুর সঙ্গে লেগে থাকা একটি পাইপ ধরে ফেলে ঝুলতে থাকে সে। ঝুলন্ত অবস্থায় পকেট থেকে মোবাইল বার করে পুলিশে ফোন করে তাদের বাঁচানোর আর্তি জানায়। রবিবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের কাছে এমনই জানিয়েছে এক কিশোরী।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে রাজামহেন্দ্রবরম শহরের রাবুলপালেম গৌতমী সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে একটি পাইপ থেকে ঝুলছিল কীর্তণা সুহাসিনী নামে ১৩ বছরের এক কিশোরী। রবিবার ভোরে রাবুলপালেম থানা এলাকার ওই সেতু থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই থানার এক আধিকারিক সোমবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘রবিবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে পুলিশের কাছে একটি ফোন এসেছিল। সেই ফোন পেয়ে মিনিট দশেকের মধ্যে রাবুলপালেম গৌতমী সেতুতে পৌঁছে যাই আমরা। সেতুর একটি পাইপ থেকে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছিল এক কিশোরী। পুলিশের টহলদারি ভ্যানের কর্মীদের সঙ্গে মিলে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি, ওই কিশোরীর মা ৩৬ বছরের পুপ্পলা সুহাসিনী এবং তাঁর এক বছরের কন্যাসন্তানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের কাছে কীর্তণার দাবি, ‘‘মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন উল্লভ সুরেশ নামে এক যুবক। রবিবার ভোরে গাড়িতে করে আমাদের সকলকে রাজামহেন্দ্রবরমে নিয়ে যান তিনি। রাবুলপালেম গৌতমী সেতুতে নিজস্বী তোলার নাম করে গাড়ি থামিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলার সময় আমাদের তিন জনকে ধাক্কা মেরে গোদাবরী নদীতে ফেলে দেন তিনি।’’ কিশোরীর দাবি, মোক্ষম সময়ে সেতুর সঙ্গে লেগে থাকা একটি পাইপ ধরে ফেলে সে। সেখান থেকে পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে।
রাবুলপালেম থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে দু’টি দল গঠন করা হয়েছে। পুপ্পলা এবং তাঁর শিশুসন্তানের খোঁজ চালাচ্ছে একটি দল। অন্য দলটি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।