প্রতীকী ছবি।
পাবজি খেলা ঘিরে আবার মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। এ বার পাবজি গেমে হারের পর টিটকিরি সহ্য করতে না পেরে পনেরো বছর বয়সি এক নাবালক আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম শহরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, বাবা ও পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাচ্ছিল ওই নাবালক। সে সময়ই পাবজি-তে হেরে যাওয়া নিয়ে তাকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত নাবালকের মা-বাবা আলাদা থাকেন। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহের আঙুল তুলেছেন তার মা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, তুতো ভাইদের সঙ্গে গত ১১ জুন রাতে পাবজি খেলছিল ওই নাবালক। তুতো ভাইরা অপমান করায় ছেলেকে পাবজি খেলতে বারণ করেন বাবা। তার পরই ওই নাবালক ভেঙে পড়ে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘরে একা ঘুমোচ্ছিল ওই নাবালক। সেখানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। রবিবার ভোরে বার বার ডাকাডাকি সত্ত্বেও দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
সম্প্রতি পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। খেলতে না দেওয়ায় নিজের মাকে গুলি করে হত্যা করে ১৬ বছর বয়সি এক নাবালক। হত্যার পর মায়ের দেহ প্রায় দু’দিন ঘরে লুকিয়ে রাখে সে। বোনকে অন্য একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছিল সে। দেহ লোপাটের জন্য বন্ধুকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ওই নাবালক। যদিও সে কাজ করেনি তার বন্ধু।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।