ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামী পূর্ণানন্দ। — ফাইল ছবি।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের একটি আশ্রম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় এক নাবালিকা। সেই নাবালিকাই দিশা থানায় জানিয়েছে, আশ্রমের প্রধান স্বামী পূর্ণানন্দ তাকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেছেন এবং বারংবার ধর্ষণ করেছেন। প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হলে তার তদন্ত করে দিশা থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সাল থেকে নাবালিকা আশ্রমটিতে থাকত। গত ১৩ জুন সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ রুজু করে আশ্রমের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে ১৫ জুন। জানা গিয়েছে, আশ্রমটিতে বর্তমানে ১২টি শিশু বসবাস করে। তার মধ্যে চার জন মেয়ে।
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালেও অভিযুক্ত সাধুর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছিল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ধর্ষণের মামলা চলাকালীন কী করে আশ্রমে নাবালকদের ঠাঁই হয়? পুলিশ অবশ্য ধর্ষণের অভিযোগে পূর্ণানন্দকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্ত সাধুর বিরুদ্ধে শুধু ধর্ষণই নয়, জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। আশ্রমের সাড়ে ন’একর জমি নিয়েও বিতর্ক আছে। অবশ্য ধর্ষণের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন পূর্ণানন্দ। ৬৪ বছরের এই সাধুর দাবি, আশ্রমের জমি ছিনিয়ে নিতেই তাঁকে এ ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।