দাউদ ইব্রাহিম। — ফাইল চিত্র।
নিলামে উঠেছিল। প্রায় দু’কোটি টাকায় বিক্রি হল দাউদ ইব্রাহিমের পৈতৃক সম্পত্তি। জমিটির ন্যূনতম দাম ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৪০ টাকা। তাকে ছাপিয়ে কোটি টাকারও বেশি দামে গ্যাংস্টার দাউদের সম্পত্তি বিক্রি করল ‘স্মাগলার্স অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটর্স (ফরফিচার অব প্রপার্টি) অথরিটি (এসএএফইএমএ)’। কিনলেন শিবসেনার প্রাক্তন নেতা।
শুক্রবার দাউদের পরিবারের চারটি সম্পত্তি নিলামে তোলা হয়েছিল। দু’টি জমি কেনার জন্য কেউ দর হাঁকেননি। বাকি দু’টির মধ্যে যেটি কোটি টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে, সেটিই ছিল সব থেকে ছোট। ১৭০ বর্গমিটারের কিছু বেশি। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার মুম্বকে গ্রামে রয়েছে ওই কৃষিজমি। ওই গ্রামেই ছিল দাউদের পূর্বপুরুষের বাস। জমিটি কিনেছেন শিবসেনাক এক প্রাক্তন নেতা। কেন এত দামে ওই জমি কিনেছেন, তার ব্যখ্যা দিয়েছেন ক্রেতা। তিনি জানিয়েছেন, ওই জমির সমীক্ষা নম্বর এবং দাম তাঁর ‘পয়া’ সংখ্যার সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সে কারণে অত দাম দিয়ে জমি কিনেছেন। ওই জমিতে সনাতন স্কুল খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তি ২০২০ সালে দাউদের একটি বাংলোও কিনেছিলেন। সেখানে সনাতন ধর্ম পাঠশালা ট্রাস্ট তৈরি করেছিলেন তিনি। এ বার স্কুল খুলতে চলেছেন।
শুক্রবার মুম্বকে গ্রামের দাউদ পরিবারের আরও একটি জমি নিলামে বিক্রি হয়েছে। ১,৭৩০ বর্গমিটারের ওই জমি বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকায়। জমির মূল্য ছিল এক লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা।
এর আগেও দাউদের অনেক সম্পত্তি নিলামে উঠেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কোনও ক্রেতা মেলেনি। প্রশাসনের একাংশের মতে, গ্যাংস্টারের রোষে পড়ার ভয়েই বার বার পিছিয়ে গিয়েছেন ক্রেতাদের একাংশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ‘মাস্টারমাইন্ড’ দাউদ এখন পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছেন।