Anand Sharma

Anand Sharma: আজাদের সুরেই সনিয়াদের সামনে সুর চড়ালেন শর্মা

জি-২৩-র অন্যতম সদস্য শর্মা বলেন, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে যে প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন, তার তালিকা কোনও প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির হাতে পৌঁছয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ০৮:০১
Share:

ফাইল ছবি

কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ তকমা দিয়ে গুলাম নবি আজাদ দল ছেড়েছিলেন। বলেছিলেন, গান্ধী পরিবারের কোনও ‘প্রক্সি’-কে সভাপতি করে হাতের পুতুল করে রাখা হবে। আজ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে গুলাম নবির কথারই প্রতিফলন শোনা গেল আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মার মুখে। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জি-২৩-র অন্যতম সদস্য শর্মা বলেন, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে যে প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন, তার তালিকা কোনও প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির হাতে পৌঁছয়নি।

Advertisement

সনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীরা এখন সনিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে। তাঁরা লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাঁদের সামনেই আনন্দ শর্মা দাবি তোলেন, সভাপতি নির্বাচনে প্রতিনিধিদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। গুলাম নবি সনিয়াকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে লিখেছিলেন, দলের কোনও বুথ, ব্লক বা রাজ্য স্তরে নির্বাচন হয়নি। আজ শর্মা বলেছেন, সভাপতি নির্বাচনের প্রতিনিধি তালিকা চূড়ান্ত করতে কোনও বৈঠক হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এমনটা হয়ে থাকলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতাই নষ্ট হয়।

রবিবার বিকেলে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে শনিবার আনন্দ শর্মা দিল্লিতে গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘন্টাখানেক বৈঠক করেছিলেন। ফলে শর্মার মুখে আসলে গুলাম নবিরই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। সরকারি ভাবে কংগ্রেসের জনসংযোগ দফতরের ভারপ্রাপ্ত নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, ‘‘কিছু সন্দেহজনক সূত্র মারফত বলা হচ্ছে, বৈঠকে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। স্পষ্ট করতে চাই, কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেননি বা সংশয় প্রকাশ করেননি।’’ সাংগঠনিক নির্বাচনের ভারপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি আবার বলেছেন, ‘‘যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁরাও এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই গিয়েছেন। একই প্রক্রিয়া মেনে সব কিছু হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না।’’ বৈঠকের মধ্যে শর্মার প্রশ্নের জবাবে মিস্ত্রি বলেন, ৯ হাজারের বেশি প্রতিনিধির তালিকা তৈরি হয়েছে। যাঁরা সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন। কোনও প্রার্থী চাইলে তাঁকে বা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলির কাছে এই তালিকা পাঠানো হবে।

Advertisement

আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার সময়সীমা। ৮ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। একজনই প্রার্থী থাকলে সে দিনই ফল ঘোষণা হয়ে যাবে। একাধিক প্রার্থী হলে ১৭ অক্টোবর ভোটাভুটি হয়ে ১৯ অক্টোবর ফল ঘোষণা হবে। সনিয়া শুধু বলেছেন, গোটা দল ৪ সেপ্টেম্বর মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দিল্লির জনসভা ও ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

রাহুল এ দিনের বৈঠকে যোগ দিলেও তিনি মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, এ দিন আর তাঁকে কেউ সভাপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেননি। বৈঠকের পরে অবশ্য মল্লিকার্জুন খড়্গে ফের বলেছেন, ‘‘সমস্ত কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে আমারও ব্যক্তিগত মত হল, রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস সভাপতি হওয়া উচিত। উনিই দলকে এককাট্টা ও মজবুত করতে পারেন।’’ উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়তের আবার দাবি, ‘‘খুব শীঘ্রই রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হবেন।’’

কংগ্রেসের কেউই অবশ্য তার আশা দেখছেন না। কারণ সনিয়া গান্ধীকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস নেতাদের আটক করে কিংসওয়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে তিন দিন কংগ্রেস নেতারা রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। রাহুল সবাইকেই জানিয়ে দিয়েছেন,

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement