অ্যান্টি স্মগ গান ব্যবহার করে রাজধানীতে দূষণ কমানোর চেষ্টা। ছবি: টুইটার
বায়ুদূষণে নাজেহাল রাজধানীর বাসিন্দারা। দিল্লির আশপাশে রাজ্যগুলিতে ফসল পোড়ানোর কারণেই প্রতি বছর দীপাবলির পর থেকে বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রা। একটি বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ফসল পোড়ানো হচ্ছে যে সব জায়গায়, সেখান থেকে দিল্লির দিকে প্রবল বেগে ছুটে আসছে হাওয়া। সে কারণে ক্রমেই বেড়ে চলেছে দূষণ। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিনব ব্যবস্থাও নিয়েছে দিল্লি সরকার। শনিবার সকালে দিল্লির রাস্তায় দেখা গেল ‘অ্যান্টি স্মগ গান’ বহনকারী গাড়ি।
কুতুব মিনার এলাকায় সেই গাড়িটি দেখা গিয়েছে। গাড়ির পিছনে রাখা রয়েছে ‘অ্যান্টি স্মগ গান’। এই যন্ত্রটি থেকে বাতাসে বাষ্পাকারে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় দিল্লিতে বায়ুর গুণমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স)-এর মাত্রা ৪৫৩ ছিল। এই মাত্রা ৩০০-র বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে ধরা হয়। ৪০০-র মাত্রা পার হলে তাকে ‘বিপজ্জনক’ বলে ধরা হয়। সেখানে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে এই সূচকের মাত্রা ৪৮৫। বিমানবন্দরের আশপাশে এই সূচক ৪৫৩।
নয়ডাতে সূচকের মাত্রা ৫৬২ আর গুরুগ্রামে ৫৩৯। এই মাত্রাছাড়া দূষণের কারণেই নয়ডার সব স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ভাবে ক্লাস হবে অনলাইনে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদেরও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাক চলাচলে লাগাম পরিয়েছে দিল্লি। এক মাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ট্রাকই চলবে রাজধানীর রাস্তায়। পরিস্থিতি এতটাই ‘ভয়াবহ’ যে, শ্বাস নেওয়াই দায়! বায়ুদূষণের দাপাদাপিতে দিল্লির অনেক বাসিন্দাই অসুস্থ বোধ করছেন। অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে দাবি করেছেন। আবার কারও চোখজ্বালা ভাব রয়েছে। কারও কাশি-হাঁচি থামছেই না। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।