শপথ অনুষ্ঠানে সনিয়া গাঁধীকে আমন্ত্রণ জানাতে ১০ জনপথে আদিত্য ঠাকরে। পিটিআই
মহারাষ্ট্রে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিতর্কের মোড় ঘোরাতে আজ অভিযোগটি সনিয়া গাঁধী-শরদ পওয়ারের দিকে ফেরানোর চেষ্টা করলেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, কংগ্রেস-এনসিপি জোট একশোর মতো আসন পেয়েছে। তাও তারা শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ দিয়েছে। এটাই হল ঘোড়া কেনাবেচা।
মহারাষ্ট্রের ফলের পরে উদ্ধব ঠাকরে অভিযোগ করেছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে আজ প্রথম মুখ খুলে এক টেলিভিশন চ্যানেলে অমিত বলেন, ‘‘শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী, আমি একশো বার বলেছি, জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফডণবীসই। উদ্ধব ঠাকরের সামনেও বলা হয়েছে। কেউ সেই সময় এটি খণ্ডন করেননি।’’ সেনা সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, দুই দলের শীর্ষ নেতার মধ্যে যখন সমঝোতা হয়েই গিয়েছে, প্রকাশ্যে বলার দরকার ছিল না বলেই কিছু বলা হয়নি।
বিজেপি নেতৃত্বের মুখ আরও পুড়েছে, মধ্যরাতে সরকার গড়ে সেটি ধরে রাখতে না পারায়। বিরোধীরা একযোগে অভিযোগ করেছিলেন, সংখ্যা না থাকলেও ঘোড়া কেনাবেচা করে সরকার গড়তে চাইছে বিজেপি। অমিত আজ পাল্টা বলেন, ‘‘ওরা তো শিবসেনার পুরো আস্তাবলই চুরি করে নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে ৫৬ ঘোড়া চুরি। মুখ্যমন্ত্রী পদের লোভ দেখানোটাও ঘোড়া কেনাবেচা। শরদ পওয়ার ও সনিয়া গাঁধীকে আমার প্রশ্ন, তাঁদের জোটে একশোর মতো বিধায়ক থাকতে কেন শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে? এর থেকে বড় কেনাবেচা
আর কী?’’
এখন প্রশ্ন হল, শিবসেনাকে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিলে যেখানে সরকার টিকে যেত, অমিত কেন সেই পথে হাঁটলেন না? সেনা বলছে, ‘ইগো’। সব ক্ষমতা একা ভোগ করতে চান। আর অমিত বলছেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে আমরাই বড় দল।’’ তাঁর বক্তব্য, যত আসনে বিজেপি লড়েছে, জিতেছে ৭০ শতাংশে, আর শিবসেনার জয় ৪২ শতাংশে। ফলে জনমত বিজেপিরই পক্ষে। আদিত্য ঠাকরেও মোদীর পোস্টার সেঁটেছেন। শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘অমিত শাহ বলুন, যা ইচ্ছা। অনেক বছর তো বালাসাহেব ঠাকরের পোস্টার নিয়েও জিতেছে বিজেপি!’’