ফাইল ছবি।
শপথ নেওয়ার পর এক সপ্তাহও কাটেনি। উপদ্রুত জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ স্তরের ১০ সন্ত্রাসবাদীর তালিকা বানিয়ে ফেললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। যে তালিকায় রয়েছেন হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান রিয়াজ নায়কু, অন্যতম নেতা আশরাফ মৌলবি, লস্কর-ই-তৈবার জেলা কম্যান্ডার ওয়াসিম আহমেদ ওরফে ওসামার মতো কট্টর জঙ্গিরা। তালিকায় জইশ-ই-মহম্মদ, আল-বদরের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির নামও রয়েছে।
মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই বৈঠকের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে দিল্লিতে তলব করেছিলেন অমিত। সেই বৈঠকের পরেই তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জম্মু-কাশ্মীরকে নতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণ, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১০২ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০৬ জন জঙ্গি সেখানে এখন সক্রিয় রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর খবরের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের কোন কোন এলাকায় কোন কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সক্রিয়তা বেশি, কোন কোন এলাকায় কোন সংগঠন তার শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই খবরও আপডেট করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নিরাপত্তা বাহিনীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন- বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান কাশ্মীরে, উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল ১০ হাজার সেনা
আরও পড়ুন- ‘৩৭০ ও ৩৫এ নিয়ে বদল চায় কাশ্মীর’
রিয়াজ নায়কু, আশরাফ মৌলবি ও ওয়াসিম আহমেদ ছাড়া তালিকায় আর যে সব কট্টর জঙ্গির নাম রয়েছে, তাঁদের অন্যতম- হিজবুলের বরামুল্লা জেলা কম্যান্ডার মেহরাজুদ্দিন। শ্রীনগরে যিনি হিজবুলের শক্তি বাড়ানোর জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই চিকিৎসক সইফুল্লা ওরফে সইফুল্লা মির ওরফে চিকিৎসক সইফের নামও রয়েছে তালিকায়। নাম রয়েছে হিজবুলের পুলওয়ামা জেলা কম্যান্ডার আরশাদ উল হক, জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কম্যান্ডার হাফিজ ওমর, জইশের জাহিদ শেখ ওরফে ওমর আফঘানি, আল-বদরের জঙ্গি জাভেদ মাটু ওরফে ফয়জল ওরফে শাকিব ওরফে মুসাব এবং এজাজ আহমেদ মালিক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের মিনিট পনেরোর বৈঠকে অমরনাথ যাত্রার প্রস্তুতির প্রসঙ্গও উঠেছে। ৪৬ দিনের ওই যাত্রা শুরু হবে ১ জুলাই, মাসিক শিবরাত্রির প্রথম দিনে। তা শেষ হবে ১৫ অগস্ট, শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনে।
বৈটকের পর জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যের নিরাপত্তা ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত বলে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট নিয়ে কোনও কথাবার্তা হয়নি।
গত বছরের জুন থেকেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। এই বছরের শেষের দিকে সেখানে বিধানসভা ভোট হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন।