ছবি: পিটিআই।
বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে আজ দলের সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইঙ্গিত দিয়েছেন, চলতি বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ বাড়তে পারে। যদিও অন্ধকারে বিরোধীরা।
বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৬ জুলাই। অধিবেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে দিন সাতেক আগে দলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম ইঙ্গিত দেন। আজ ঠারেঠোরে ওই কথা বোঝালেন অমিত। সংসদীয় দলের বৈঠকে তাঁর ফরমান, আগামী ১০ অগস্টের আগে দলীয় সাংসদেরা যেন দিল্লি না ছাড়েন। এমনকি, নিজেদের কেন্দ্রে কোনও অনুষ্ঠানও রাখবেন না। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৯ অগস্ট পর্যন্ত অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। অমিত জানান, সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংসদে দিনে দু’টি করে বিল পাশ করানোর উপরে জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই প্রয়োজনে রাত পর্যন্ত অধিবেশন চলতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন শাহ।
বিজেপি সভাপতি যখন অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে দলীয় সাংসদদের কর্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তখন বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘‘শুনতে তো পাচ্ছি আমরাও। কিন্তু সরকারি ভাবে আমাদের কাছে কোনও তথ্যই নেই।’’ ক্ষুব্ধ বিরোধীদের অভিযোগ, গত কাল উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেও অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে রা’ কাড়েনি সরকার। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, ‘‘সংসদের উপরে শাসক দলের যতটা অধিকার রয়েছে, ততটাই বিরোধীদের। বিরোধীদের সেই অধিকার সরকার অগ্রাহ্য করতে চাইছে।’’
শাসক শিবিরের পাল্টা যুক্তি, অধিবেশনের মেয়াদ বাড়বে কি না, ক’টি বিল পাশ হবে— সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার সরকারের। বিরোধীদের অভিযোগ, এক নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের পথে হাঁটছে মোদীর সরকার। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, ‘‘মেয়াদ বাড়লে বর্ধিত দিনের অধিবেশনের গোটাটাই বয়কট করবেন বিরোধীরা।’’
সরকারের অভিপ্রায় নিয়ে বিরোধীদের যুক্তি, এখনও বিভিন্ন মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি। কোনও বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য ভোটাভুটি হলে সংখ্যাধিক্যের জোরে শাসক শিবির জিতবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই উভয় সভাতেই ১৩টি বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই একতরফা ভাবে সরকার অধিবেশনের মেয়াদ বাড়াতে চাইছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।