শাহ আমাকে বৈঠকে ডাকেননি: মুকুল

মুকুলের গতিবিধি ঘিরে কিছু দিন ধরেই রাজ্য রাজনীতি গুঞ্জনে মুখর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০৪:১৬
Share:

মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।

ফের ধোঁয়াশা তৈরি করলেন মুকুল রায়! গত সপ্তাহে দিল্লির বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে দিল্লি পৌঁছে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মুকুলের। মুকুলের তরফ থেকে তখন অবশ্য এ বিষয়ে খোলসা করে কিছুই বলা হয়নি। তবে দেখা গেল, এ দিন তিনি দিল্লি যাননি। তাঁর দাবি, সোমবার তিনি দিল্লি যাবেন। তবে শাহ বা অন্য কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠকের কর্মসূচি নেই।

Advertisement

মুকুলের গতিবিধি ঘিরে কিছু দিন ধরেই রাজ্য রাজনীতি গুঞ্জনে মুখর। বিধানসভা ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রাজ্য নেতাদের বৈঠকে মুকুল কার্যত ছিলেন না। এক দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বাড়িতে সামান্য সময় উপস্থিত থাকার পরের দিন দিল্লিতে থেকেও নির্ধারিত বৈঠকে তিনি যাননি। তার পরেই চোখের চিকিৎসা করাবেন বলে দ্রুত কলকাতায় ফেরেন। বিজেপি সূত্রে তখনই শোনা গিয়েছিল, মুকুল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন। পরে মুকুল কলকাতায় ফিরে এলে নড্ডার দফতর থেকে তাঁর কাছে ফোনও আসে। তিনি জানিয়ে দেন, কলকাতায় ফিরে এসেছেন। মুকুল অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করেছেন, নড্ডার ফোন তাঁর কাছে আসেনি। আরও এক ধাপ এগিয়ে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি সোমবার দিল্লি যাব ব্যক্তিগত কারণে। শাহের সঙ্গে বৈঠকের কোনও কর্মসূচি নেই।’’

স্বাভাবিক ভাবেই গত কয়েক দিন ধরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক থেকে শুরু করে নড্ডা বা শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় থেকে মুকুল নিজেকে ‘আলাদা’ করে রাখছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। তারই পরিপ্রক্ষিতে তাঁর সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হচ্ছে কি না বা মুকুল অন্য কোনও রাজনৈতিক পদক্ষেপ করার কথা ভাবছেন কি না, সেই সব প্রশ্নও সামনে আসছে। যদিও মুকুল ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন এবং থাকবেন। এ দিকে, এ দিনই দিল্লিতে শাহের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে সাংসদ হওয়া দুই মুকুল-ঘনিষ্ঠ সৌমিত্র খান এবং নিশীথ প্রামাণিক। তাঁদের দাবি, তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুই বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে ৩৫৬ জারির আর্জি জানিয়েছেন শাহের কাছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বরাবরই বলছেন, তাঁরা নীতিগত ভাবে ৩৫৬-র বিরোধী। ভোট লড়ে তৃণমূলকে হারাতে চান।

Advertisement

আরও পড়ুন: গোরক্ষকদের হাতুড়ি হানায় গুরুগ্রামে জখম চালক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement