ছবি: পিটিআই।
শাহিন বাগের থেকে আবেদন এলে তিন দিনের মধ্যে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে কথা অবশ্য বলেছেন এক সপ্তাহ আগে। তার পরে শাহিন বাগের দাদিরা গত রবিবার দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে দেখা করার আবেদনও করেছেন। পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও নিজের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিই রাখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে এখন অবশ্য দুই আইনজীবী শাহিন বাগে মধ্যস্থতা করছেন। কিন্তু বিরোধী শিবির বলতে শুরু করেছে, সুপ্রিম কোর্ট তো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখা না করার কোনও নির্দেশ দেয়নি। গত রবিবারই অমিত শাহের আবেদন মেনে শাহিন বাগের দাদিরা পদযাত্রা শুরু করেছিলেন। কিছুটা পথ হাঁটার পরেই অমিত শাহের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। জানায়, আনুষ্ঠানিক আবেদন ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায় না। সে সময় দাদিরাই এটিকে আবেদন বলে ধরতে বলেন। আর দিল্লি পুলিশও সে আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সুপ্রিম কোর্ট গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় বিরোধী দলগুলি এখন প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করছে না। কিন্তু বিরোধী শিবিরের এক নেতার কথায়, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে, কেন সরকার এত দিন কোনও পদক্ষেপ করেনি? কেন্দ্রের সলিসিটর তুষার মেহতা জানান, সরকার গিয়েছিল। কিন্তু শাহিন বাগে মহিলা ও শিশুদের সামনে রাখা হয়। হট্টগোলে কোনও কথা বলা যায় না। এক বিরোধী নেতার প্রশ্ন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কে শাহিন বাগে আলোচনা করতে গিয়েছেন? শাহিন বাগ তো আজও সরকারের অপেক্ষায় রয়েছে। খোদ অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি।’’
আরও পড়ুন: ৮৪! তবু একুশ-প্রাঙ্গণে এ-পার বাংলার সন্ধ্যারানি
বিজেপির যুক্তি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁর দফতরে আবেদন দিতে। কিন্তু তাঁর দফতরে সরাসরি কোনও আবেদন আসেনি। তার উপর এখন সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতা করছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হলে সরকার পদক্ষেপ করতে পারে। ফলে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।