অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের পরে এ বার মাওবাদী সমস্যা মেটাতে তৎপর হল কেন্দ্র। আজ দিল্লিতে মাওবাদী উপদ্রুত দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সমস্যা একেবারে নির্মূল করার উপরে জোর দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুক্তি, ২০১০ সালে গোটা দেশের ৯৬টি জেলায় মাওবাদীদের উপদ্রব ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০টিতে। এক দিকে নিয়মিত ভাবে অভিযান ও অন্য দিকে উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয়দের সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করার উপরে জোর দেন মন্ত্রক কর্তারা। মাওবাদী দমনে বাহিনীর অপ্রতুলতা কমাতে ৬৬ নম্বর ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন (আইআরবি) গঠনের উপরে জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যে বাহিনী মূলত মাওবাদী দমনের কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে বাহিনী গঠনের বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেন শাহ।
মাওবাদীদের অর্থ সংগ্রহের উৎস বন্ধের উপরেও জোর দেন শাহ। তাঁর মতে, অর্থের উৎস শুকিয়ে যেতে শুরু হলে সব ক্ষেত্রেই সমস্যার মুখে পড়বে মাওবাদীরা। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সড়ক, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নয়নের আঁচ পেলেই সাধারণ মানুষ মাওবাদীদের পাশ থেকে সরে আসবেন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তা করতে হবে।’’ পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি বরাবর অনগ্রসর এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় অনুদান বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। আজ সেই দাবি জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। মধ্যপ্রদেশের আরও দু’টি জেলাকে মাওবাদী উপদ্রুত জেলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কমল নাথ।
আজ দশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকে ডাকা হলেও আসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। মমতার পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।