পিওকে-র জন্য দায়ী নেহরুই, তির অমিতের

মহারাষ্ট্রে ভোট ঘোষণার পরে মুম্বইয়ে বিজেপি সভাপতির জনসভায় আজ মূল বিষয় হয়ে উঠেছিল ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রসঙ্গ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অস্তিত্বের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেই দায়ী করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর মতে, নেহরু যদি ১৯৪৭-এ পাকিস্তানের সঙ্গে ‘অসময়ে’ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা না করতেন, তা হলে ভারতেরই অংশ ওই এলাকায় আজ পাকিস্তানের কোনও অস্তিত্বই থাকত না। মহারাষ্ট্রের ভোটের মুখে নেহরুর পাশাপাশি রাহুল গাঁধীকেও এ দিন নিশানা করেছেন অমিত। বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তে রাহুল রাজনীতি দেখছেন, তবে এই বিষয়টি বিজেপির কাছে জাতীয়তাবাদের অঙ্গ। দলের তিন প্রজন্ম এ জন্য জীবন দিয়েছেন।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে ভোট ঘোষণার পরে মুম্বইয়ে বিজেপি সভাপতির জনসভায় আজ মূল বিষয় হয়ে উঠেছিল ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রসঙ্গ। গাঁধী-নেহরু পরিবারকে নিশানা করতে গিয়ে অমিত টেনে আনেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) কথা। বলেন, ‘‘নেহরু যদি পাকিস্তানের সঙ্গে অসময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করতেন, তা হলে পিওকে-র অস্তিত্বই থাকত না। এটা নেহরুর ভুল। কাশ্মীরের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নেহরুর বদলে সর্দার বল্লভভাই পটেলের হাতে ছাড়া উচিত ছিল।’’ অমিতের মন্তব্য, ‘‘১৯৫০-এ পটেলের মৃত্যুর পরে ভারত সরকার শেখ আবদুল্লার সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, সেটাই অনুচ্ছদ ৩৭০-এর ভিত্তি।’’ বিজেপি সভাপতির যুক্তি, পাকিস্তান থেকে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মনমোহন সিংহ, ইন্দ্রকুমার গুজরাল। উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। কিন্তু অন্য জায়গা থেকে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা ভোটাধিকার পর্যন্ত পাননি। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলোপের সিদ্ধান্ত সেই রাস্তা খুলে দিয়েছে।

ভোটের সভায় অমিতের নিশানায় ছিলেন রাহুল। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উনি বলছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পিছনে রাজনীতি রয়েছে। রাহুল বাবা, আপনি কিছু দিন হল রাজনীতিতে এসেছেন। কিন্তু বিজেপির তিন প্রজন্ম কাশ্মীরে ৩৭০ বিলোপের জন্য জীবন দিয়েছেন। এটা রাজনীতির কোনও বিষয় নয়। এটা ‘ভারত মা’-কে ভাগ করতে না-দেওয়ার চেষ্টা।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এত দিন ধরে কাশ্মীরের জন্য ২.২৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই টাকা যদি সেই এলাকায় উন্নয়নে ঠিক ভাবে খরচ হত, তা হলে কাশ্মীরের বাড়িগুলির ছাদও সোনার হত।’’ অমিতের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের অতীতের সরকারগুলি দুর্নীতি-দমন আইনের রূপায়ণ করতে দেয়নি। দুর্নীতিতে ডুবে ছিল তারা। আর তার রক্ষাকবচ ছিল ৩৭০ ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement