অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতির সফল রূপায়ণে রাজ্যপালদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ দিল্লিতে ৫১তম রাজ্যপাল সম্মেলনে রাজ্যপালদের উদ্দেশে ওই বার্তা দেন তিনি।
স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিন আজ। রাজ্যপালদের সম্মেলনে আজাদের জন্মদিনকে স্মরণ করে জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রসঙ্গ টেনে আনেন শাহ। পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য হিসাবে ওই নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে রাজ্যপালদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিস্তর টালবাহানার পরে প্রায় বছর খানেক আগে জাতীয় শিক্ষা নীতি সামনে আনে নরেন্দ্র মোদী সরকার। নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের অভিযোগ যেমন গোড়া থেকেই রয়েছে তেমনি সংসদে আলোচনা না করেই কেন শিক্ষা নীতি ঘোষণা করা হল, তা নিয়েও শুরু থেকেই সরব বিরোধী দলগুলির। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর মতো বিরোধী রাজ্যগুলির মতে, নতুন ওই শিক্ষানীতি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। কেন্দ্রের ওই ‘চাপিয়ে দেওয়া’ নীতিতে আঞ্চলিক শিক্ষাকে এক দিকে যেমন অবহেলা করা হয়েছে, তেমনি উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রীকরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে রাজ্যের ভূমিকা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেই অভিযোগ রাজ্যগুলির।
শিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। নতুন শিক্ষানীতি ঘিরে রাজ্যগুলির বিরোধের ফলে কেন্দ্র ভাল করেই বুঝতে পারছে, নতুন শিক্ষানীতি সফল করতে গেলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় জরুরি। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের সেতু হওয়ার জন্য রাজ্যপালদের এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন শাহ। বৈঠকে তিনি বলেন, “৩৪ বছর পরে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষানীতির ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গেই সেই শিক্ষানীতির সফল রূপায়ণের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যপালদের। দেশের ৭০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে। উচ্চশিক্ষায় থাকা দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ পড়ুয়া রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেই পড়াশুনো করেন। পদাধিকারবলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ্যপালেরা। তাই শিক্ষানীতির সুষ্ঠু রূপায়ণের প্রশ্নে রাজ্যপালদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’