প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়ারা জেলার একটি কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পালিয়ে গেলেন ২২ পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা সকলেই তেলঙ্গানা থেকে ফিরেছিলেন। গ্রামে ফিরে যাওয়ার আগে তাঁদের রাখা হয়েছিল সেখানে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা থেকে মোট ৪৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছিলেন ছত্তীসগঢ়ে। তাঁদের সকলকে রাখা হয়েছিল অরণপুর থানার কাছে এক কোয়রান্টিন সেন্টারে। সেখান থেকেই পালিয়েছেন ওই ২২ জন। এ নিয়ে দান্তেওয়ারা জেলাশাসক তোপেশ্বর ভার্মা এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই শ্রমিকদের বাড়ি নাহাদি গ্রামে। সেখানে মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। জেলাশাসক বলেছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার অরণপুর পৌঁছনোর পর ওই শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।’’
যদিও ওই শ্রমিকদের মধ্যে কোভিড-১৯-এর কোনও লক্ষণ ছিল না বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এখনও গ্রামে পৌঁছননি। প্রাশাসন ও পুলিশের পক্ষে ওই গ্রামে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ সেটি মাওবাদীদের গড় এলাকা।’’
আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরার পথে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত ১৬ পরিযায়ী শ্রমিক
বস্তার, কাঁকের, কোন্ডাগাও, নারায়ণপুর, দান্তেওয়ারা, সুকমা ও বিজাপুর— বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি এখনও পাওয়া যায়নি। সে রাজ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের হয়েছেন মোট ৫৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কোনও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি সেখানে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫৬ হাজার, মৃত্যু ১৯০০ ছুঁইছুঁই