—প্রতীকী ছবি।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্র। সূত্রের বক্তব্য, শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশের মাটিতেও চিন তাদের ঘাঁটি গাড়তে সক্রিয়। তার মধ্যে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ করে রিপোর্ট বলছে, বেজিংয়ের উদ্দেশ্যই হল শক্তির আস্ফালন এবং চিনের স্বার্থকে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে দেওয়া।
প্রসঙ্গত চিন সীমান্তে বাড়তি প্রায় দশ হাজার সেনা মোতায়েন করছে ভারত। আমেরিকার রিপোর্টে ভারত এবং পাকিস্তানের সীমান্ত নিয়েও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ২০২১ সালে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুর্ননবীকরণের পর ঝড়ের আগের স্তব্ধতা দেখা যাচ্ছে। এই আপাত শান্তির মধ্যে ভারত বা পাকিস্তান কেউই কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মেরামত করার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপই করেনি। ভারত ব্যস্ত থেকেছে ঘরোয়া রাজনীতির অগ্রাধিকার নিয়ে, আসন্ন ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে। পাকিস্তান হাবুডুবু খেয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে।
চিন প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের পর থেকে ভারত-চিন কোনও রকম আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে জড়ায়নি ঠিকই। কিন্তু বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। ফলে সামান্য এবং বিচ্ছিন্ন কোনও হাতাহাতির ঘটনাও পরিণত হতে পারে বড় মাপের অস্ত্র যুদ্ধে। চিনের সেনা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা, সাইবার হামলা, আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টার মতো বিষয়গুলিও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদী গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশে ১৩,০০০ ফুট সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করেছেন, যার ফলে তাওয়াং-এ দ্রুত সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছনো সম্ভব হবে। দু’দেশের পক্ষ থেকেই সীমান্তে পরিকাঠামো বাড়ানোর তোড়জোড় পড়ে গিয়েছে। আমেরিকার গোয়েন্দা তথ্য বলছে, বেজিং ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত জাতীয় সেনাবাহিনী তৈরি করায় মন দিয়েছে।