শহরে আমেরিকান দূত এরিক গার্সেটি। —নিজস্ব চিত্র।
ভারতের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমেরিকা যে ভারতের পাশে ছিল, ইউক্রেন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সে কথা মনে করিয়ে দিলেন ভারতে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি।
শুক্রবার শহরে এক অনুষ্ঠানের পরে এরিক বলেন, ‘‘ইউক্রেন ও রাশিয়া, দু’দেশের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। ফলে শান্তি ফেরাতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে কী ভূমিকা ভারত নেবে, তা ভারতকেই স্থির করতে হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কেবল বলতে চাই, সার্বভৌমত্ব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অন্যতম মূল নীতি। ভারতের সীমান্ত রক্ষার প্রশ্নে আমরা সব সময়েই ভারতের পাশে থেকেছি। ইউক্রেন যুদ্ধেও সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘গ্লোবাল সাউথ’ গোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। জলদস্যু-বিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষেত্রে শান্তি ফেরানো, ভারতের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে আমেরিকা সব সময়েই স্বাগত জানায় বলে জানান গার্সেটি।
আমেরিকায় খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমেরিকা। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, ‘‘ভারত-আমেরিকা মৈত্রী অসাধারণ। কিন্তু কিছু বিষয়কে আমাদের যৌথ ভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’’
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের একাংশে দাবি করা হয়, মণিপুর সঙ্কট মেটাতে আমেরিকা সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন গার্সেটি। কিন্তু শুক্রবার রাষ্ট্রদূত জানান, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ হিসেবে যেখানেই যন্ত্রণা দেখি, আমরা কষ্ট পাই। মণিপুর ভারতের সমস্যা। ভারতীয়দেরই তার সমাধান করতে হবে। আমরা উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভালবাসি। আর্থিক উন্নয়ন, তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের মতো ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে সাহায্য করি। উত্তর-পূর্বেও এ সব ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে সাহায্য করতে তৈরি।’’