অমরেন্দ্র সিংহ। ফাইল চিত্র।
জল্পনা ছিল দিল্লি গিয়ে তিনি অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। কিন্তু পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অমরেন্দ্র সিংহ মঙ্গলবার জানালেন ব্যক্তিগত কাজে তিনি দিল্লি এসেছেন। কোনও রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা করতে নয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিনিধিকে অমরিন্দর বলেন, ‘‘আমি দিল্লিতে কোনও রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা করতে আসিনি।’’ যদিও দিনভর জল্পনা ছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকেই পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদল চূড়ান্ত হতে পারে। কিন্তু অমরেন্দ্র সরসরি এমন কোনও বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ‘বিকল্প পথের’ কথা বলে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পঞ্জাব রাজনীতির ‘ক্যাপ্টেন’। তার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে জানিয়েছিলেন, অপমান সহ্য করে তিনি আর দলে থাকতে চান না। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অমরেন্দ্র দল ছাড়লে কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভজোৎ সিংহ সিধু। যাঁর সঙ্গে বিরোধের জেরেই অমরেন্দ্র কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন বলে জল্পনা দানা বেঁধেছিল।