প্রতীকী ছবি।
ইজরায়েল থেকে নয়া হেরন ড্রোনের নয়া সংস্করণ কিনতে চলেছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চারটি ‘হেরন টিপি’ ড্রোন কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে ইতিমধ্যেই।
ইজরায়েলের তৈরি হেরন ড্রোন ভারতে নতুন নয়। হেরন-১ গোত্রের ড্রোন ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে অনেক দিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু এই ড্রোনের আরও আধুনিক এবং উন্নত সংস্করণ তৈরি করেছে ইজরায়েল। নতুন সংস্করণের নাম ‘হেরন টিপি’ এবং ‘হেরন টিপি এক্সপি’।
প্রতিমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার জন্য কেনা হবে মাঝারি উচ্চতার ওড়ার উপযোগী ‘হেরন টিপি’। আধুনিক উপগ্রহ-যোগাযোগ এবং সেন্সর যুক্ত এই চালকহীন বিমানে ‘আকাশ থেকে ভূমি’তে ছোড়ার উপযোগী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে। বসানো যাবে লেজার-নিয়ন্ত্রিত নিশানা করার সরঞ্জামও। এই ড্রোনের সাহায্যে ভবিষ্যতে বিনা ঝুঁকিতে পড়শি দেশের জঙ্গি শিবিরে বালাকোটের মতো অভিযান চালাতে পারবে ভারত।
অন্যদিকে, ‘হেরন টিপি এক্সপি’ প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবি স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে এই ড্রোন। ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে সক্ষম। ইজারায়েল থেকে এই মডেলটিও আনতে পারে ভারত। সম্প্রতি জম্মু কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে একাধিক বার ভারতীয় আকাশসীমায় পাক ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাব সীমান্তেও। এই পরিস্থিতি পাক হানাদারির মোকাবিলায় হেরনের উন্নত সংস্করণগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আমেরিকা থেকে উঁচুতে দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন ৩০এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে বানানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে। ওই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা! সম্প্রতি আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করেছিলেন জেনারেল অ্যাটোমিক্সের সিইও বিবেক লালের সঙ্গে। তাঁর সংস্থা বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী এই ‘প্রিডেটর ড্রোন’-এর নির্মাতা।