প্রতীকী ছবি
কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নেওয়ার মধ্যবর্তী ব্যবধান কমাতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল কেরল হাই কোর্ট। আদালতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ১২ সপ্তাহের সময়সীমা কমিয়ে চার সপ্তাহ করতে।
এ ক্ষেত্রে আদালত বিদেশ কর্মরত ভারতীয়দের উদাহরণ টেনেছে। বলা হয়েছে, অনেকেই আছেন, যাঁরা বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের আগে ভাগে কোভিড থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা হলে সেই সুবিধা কেন সীমাবদ্ধ রাখা হবে? দেশের মধ্যেও যাঁদের কর্মক্ষেত্রের স্বার্থে বা শিক্ষার কারণে আগে থেকে টিকা নেওয়া দরকার, তাঁদেরও দিয়ে দেওয়া হোক। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, টিকা নেওয়ার বিষয়ে একটি স্বাধীনতা থাকা উচিত। সেই কারণেই বেসরকারি হাসপাতালগুলির হাতে টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অর্থের বিনিময়ে মানুষ টিকা পাচ্ছেন, তা হলে কেন প্রয়োজনে আগে টিকা নিতে পারবেন না?
আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, টিকাকরণ ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। কেউ যদি সরকারের দেওয়া ‘পরামর্শ’ না মেনে মনে করেন সুরক্ষার কারণে তাঁদের আগে টিকা নেওয়া প্রয়োজন, তা হলে তাঁরা কেন নিতে পারবেন না?