কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ ছাঁটাই নিয়ে বিরোধীদের তোপ ও নরেগা-কর্মীদের আন্দোলনের মুখে আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ফের আশ্বাস দিলেন, চাহিদা বাড়লে পরে বাড়ানো হবে বরাদ্দ। কিন্তু কর্মীদের ডিজিটাল মাধ্যমে উপস্থিতি নথিভুক্ত ও আধার-ব্যবস্থার মাধ্যমে মজুরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে মোদী সরকার পিছু হটছে না। কেন্দ্রের যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। আরও এগিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের যুক্তি, রাজ্যগুলিরও একশো দিনের কাজের মজুরি দেওয়া উচিত। তা হলে নজরদারি বাড়বে, অর্থ নয়ছয় কমবে।
অর্থমন্ত্রী বাজেটে আগামী অর্থ বছরের জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। চলতি বছরের সংশোধিত খরচের থেকে ৩৩% কম। বিরোধীদের নালিশ, এর মধ্যেও ১০ হাজার কোটি টাকা আগের বকেয়া রয়েছে। এই বরাদ্দে ১৬ কোটি নথিভুক্ত কর্মী কাজ চাইলে বছরে ১০০ দিনের বদলে মাত্র ১০ দিন কাজ মিলবে। তথ্য অনুযায়ী, আধারের ভিত্তিতে মজুরি দেওয়া হলে ৫৭% কর্মী মজুরি পাবেন না।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজ অভিযোগ তুলেছেন, “গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত একশো দিনের কাজে প্রথমে বরাদ্দ ছাঁটাই, তার পরে আধারের সঙ্গে মজুরি যুক্ত করা, দুটোই গরিবদের আয়ে হামলা। কোনও ভাবনা নেই, পরিকল্পনা নেই, একটাই নীতি, গরিবদের সঙ্গে প্রতারণা।” নরেগা-কর্মীদের একাংশ দিল্লিতে যন্তর মন্তরে আন্দোলনে নেমেছেন। প্রশ্নের মুখে আজ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “প্রকল্পে চাহিদা বাড়লেই বরাদ্দ বাড়ানো হবে।”