মোদী মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা।
সকাল থেকেই জল্পনা, আজ সন্ধেতেই রদবদল ও সম্প্রসারণ ঘটবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুশীল মোদীর মতো বিজেপি নেতারা শিকে ছেড়ার অপেক্ষাতেও ছিলেন। কিন্তু দিন শেষে সব জল্পনায় জল ঢেলে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে, এমন খবর তাঁর জানা নেই। বিজেপি সূত্রের অবশ্য দাবি, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সে রাজ্যে ও কেন্দ্রে এ মাসের মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। এই সুযোগে মন্ত্রিত্ব পেতে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি।
কৃষক আন্দোলন, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে হার— সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে মোদী সরকার। শিরোমণি অকালি দল, শিবসেনা আগেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারের বড় শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ মন্ত্রিসভার অন্তত দু’টি আসনের জন্য চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৯-এ মোদীর শপথের সময়ে জেডিইউ থেকে একজনকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নীতীশ। এ যাত্রায় আরসিপি সিংহ ও রাজীবরঞ্জন যাদবের জন্য মন্ত্রিসভায় দু’টি জায়গা চেয়ে অনড় দল। বিহারের এলজেপি বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র বিরুদ্ধে লড়লেও কেন্দ্রে বিজেপির শরিক। রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে, এলজেপি নেতা চিরাগ বাবার মৃত্যুর পর থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ দাবি করে বসে রয়েছেন। তাঁকে মন্ত্রী করার প্রশ্নে গোড়া থেকেই আপত্তি জেডিইউয়ের। ফলে দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট করে সমাধান সূত্র খোঁজা বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির।
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশের ভোট। সে রাজ্যে মন্ত্রিসভায় রদবদলের প্রশ্নে এখনও যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে পারেননি মোদী-অমিত শাহেরা। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চায় উত্তরপ্রদেশের এনডিএ শরিক আপনা দল, নিষাদ পার্টি। আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল গত বার মোদীর মন্ত্রী ছিলেন। এ বার মন্ত্রিত্ব পাননি তিনি। গত সপ্তাহেই মন্ত্রিসভায় একটি আসনের দাবি জানিয়ে শাহের কাছে দরবার করতে এসেছিলেন অনুপ্রিয়া। একই দাবি করেছেন নিষাদ পার্টির সাংসদ প্রবীণকুমার নিষাদ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানেন, মন্ত্রিসভায় এঁদের জায়গা না দিলে
উত্তরপ্রদেশের জোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মন্ত্রিত্ব না পেলে আলাদা ভাবে ভোটে লড়বে বলে দুই দলই প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রেখেছে।
অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিহারের সুশীল মোদীরাও। অসমের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকেও মন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে এখন শরিকি চাপের সঙ্গে দলের সাংসদদের আকাঙ্খার কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদীকে।