— ছবি সংগৃহীত
উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরকরণের লক্ষ্যে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করা রোখার অধ্যাদেশ তথা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনটি বুধবার প্রত্যাহার করে নিতে বলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কারণ তথাকথিত ‘লাভ জেহাদ’ তথা অবৈধ ধর্মান্তরকরণ রোখার ওই অর্ডিন্যান্স অতিমধ্যেই আইনে পরিণত করা হয়েছে। তাই অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদেনের বিচার এখন অর্থহীন। আবেদনকারীর আর্জি ছিল, মূল বিষয়বস্তু যখন একই থাকছে, সে ক্ষেত্রে আবেদনটি সংশোধন করে অধ্যাদেশের বদলে আইন লিখতে দেওয়া হোক। তাতে নতুন করে আবেদন পেশ ও বিচারের জন্য কালক্ষেপ হবে না। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় যাদব ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মার বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দেয়, চাইলে নতুন করে আবেদন করা যেতে পারে।
অবৈধ ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে দিল্লিতে সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াড যে দু’জনকে ধরেছে, তাঁদের অন্যতম মহম্মদ উমর গৌতম লখনউয়ের বড়সড় ধর্মান্তরকরণ চক্রের সদস্য। উমরের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেটিতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, প্রতি মাসে ১৫ জনকে, মোট অন্তত ১০০০ জনের বেশিকে তাঁরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়েছেন। ধর্মান্তরকরণের এই কাজ হয়েছে লখনউয়ের ‘আল হাসান এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ স্কুলে। উমর ওই স্কুলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। ভিডিয়োয় পোলান্ড, পর্তুগাল, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে লোক আসার কথা বলেছেন তিনি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ধৃত উমর ও মুফতি কাজি জাহাঙ্গির আলম বছর দেড়েক ধরে ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের মাধ্যমে ঢালাও ধর্মান্তরকরণের কাজ করে আসছেন। উত্তরপ্রদেশের সরকার মঙ্গলবারই পুলিশকে অবৈধ ধর্মান্তরকরণেরপুরো চক্রটির হদিস বার করতে নির্দেশ দিয়েছে।