Allahabad High Court

হোর্ডিংয়ে প্রতিবাদী মুখ কেন, ক্ষুব্ধ কোর্ট

লখনউয়ে সিএএ-বিরোধী হিংসায় যে-সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে তা অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০৩:১০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

লখনউয়ে সিএএ-বিরোধী হিংসায় অভিযুক্তদের হোর্ডিং টাঙানো নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কড়া সমালোচনা করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আজ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে শুরু করা বিশেষ শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুরের বেঞ্চ জানিয়েছে, এটা অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। আগামিকাল দুপুরে এই নিয়ে রায় দেবে হাইকোর্ট।

Advertisement

লখনউয়ে সিএএ-বিরোধী হিংসায় যে-সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে তা অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তা নিয়ে নির্দেশও জারি হয়েছে। এর পরে লখনউয়ের জনবহুল নানা এলাকায় অভিযুক্তদের ছবি ও ঠিকানা-সহ হোর্ডিং টাঙিয়েছে সরকার। তাতে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ না-দিলে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সমাজকর্মী সদফ জাফর, আইনজীবী মহম্মদ শোয়েব, নাট্যকর্মী দীপক কবীর ও প্রাক্তন আইপিএস এস আর দারাপুরী। আজ সকাল ১০টায় বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে শুনানি শুরু করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি রমেশ সিন্‌হার বেঞ্চ বলে, ‘‘পোস্টার লাগানোর পদক্ষেপ অত্যন্ত অন্যায্য। এতে অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।’’ বেলা ৩টেয় হাজির হয়ে এই বিষয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের জবাব দেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

সদফ জাফরের মতে, ‘‘এটা একেবারে জঘন্য ব্যাপার। আমি তো পলাতক নই। সরকার এই কৌশল নিয়ে আমাদের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে।’’ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার মতে, ‘‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রধান ও তাঁর সহযোগীরা ভাবেন, তাঁরা সংবিধানের ঊর্ধ্বে। হাইকোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, তাঁরা সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আধার-ভোটার সংযুক্তিতে সায় আইন মন্ত্রকের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement