আলাপন মামলায় রায়দান স্থগিত। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
আলাপনের ক্যাট-মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অন্য দিকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। রায়দান স্থগিত করার আগে সলিসিটর জেনারেল বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, রায়ের আগে আলাপনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।
এ দিন শুনানিতে তুষার মেহতা প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশ সংক্রান্ত এক্তিয়ার নিয়ে। পাশাপাশি তাঁর সওয়াল, হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে রয়েছে রাজনৈতিক রং। পাল্টা সওয়ালে আলাপনের কৌঁসুলি অভিষেক বলেন, হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ মুছে ফেলার ক্ষমতা শীর্ষ আদালতের হাতে আছে। প্রয়োজন মনে করলে তা করা যেতে পারে। পাশাপাশি হাই কোর্টের ‘এক্তিয়ার’ নিয়ে তাঁর সওয়াল, পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস আধিকারিক আলাপন চিরকাল পশ্চিমবঙ্গেই কাজ করেছেন, তাঁর বাড়ি কলকাতায়। এমনকি, অবসরের পরেও তিনি কলকাতাতেই থাকছেন। স্বভাবতই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতিরা রায়দান স্থগিত রাখেন।
অবসরের ঠিক আগে আলাপনের কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন। এ বছরের ৩১ মে, নির্দিষ্ট দিনেই আলাপন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ দফতর। তদন্ত খারিজের দাবিতে ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। কিন্তু কোনও রায়ের আগেই গত ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। এই স্থানান্তরের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে যান আলাপন। মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। তারই রায়দান স্থগিত রাখল সর্বোচ্চ আদালত।