অবশেষে প্রত্যাহার গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বিরোধীদের প্রবল হইচইয়ের মধ্যে লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তার পর সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
বেলা ১২টায় অধিবেশনের ফের শুরু হতেই ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১’ পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে সরকার পক্ষ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবারই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল রাজ্যসভায় পেশ হবে।
এ দিকে এখনও কৃষকরা দিল্লি সীমানায় বসে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুরুপরবের দিন মৌখিক ভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি ছিল, সংসদে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহার না হওয়ার পর্যন্ত অবস্থান চলবে। সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই এ নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। সরকার পক্ষ সেই দাবি না মানায় শুরু হয় হই-হট্টগোল। শেষ পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয় স্পিকারকে।
বেলা ১২টায় অধিবেশন শুরু হতেই লোকসভায় প্রত্যাহার বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। ধ্বনিভোটে তা পাশ হয়ে যায়। বিরোধীদের আলোচনার দাবি মানেনি সরকার।