(বাঁ দিকে) রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদব। — ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারে ধাক্কা খেলেও দেশের বৃহত্তম রাজ্য (জনসংখ্যার নিরিখে) উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতার পথেই হাঁটতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি।
লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ১১টি কংগ্রেসকে ছাড়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। শনিবার এই দাবি করলেন, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের জন্য ১১টি আসন বরাদ্দ করেই বোঝাপড়া চূড়ান্ত হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
এক্স হ্যান্ডলে শনিবার অখিলেশ লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমঝোতা ১১টি আসন থেকে শুরু হচ্ছে। এই প্রবণতা জয়ের পথে আরও অগ্রসর হওয়ার সমীকরণের সঙ্গে আত্মপ্রকাশ করবে। ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘পিডিএ’ (পিছড়ে-দলিত-অল্পসংখ্যক অর্থাৎ, ওবিসি-তফসিলি জাতি এবং সংখ্যালঘু) রণকৌশল বদলে দেবে ইতিহাস।’’ প্রসঙ্গত, এ বার লোকসভা ভোটে ‘পিডিএ’ সমীকরণের স্লোগানে ভর করেই বিজেপির মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন অখিলেশ।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির পাশাপাশি জাঠ নেতা জয়ন্ত চৌধরির দল আরএলডি-ও ইতিমধ্যেই অখিলেশের জোটে শামিল হয়েছে। তাদের ৭টি আসন ছেড়েছে সমাজবাদী পার্টি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিএসপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল সমাজবাদী পার্টি এবং আরএলডি। অখিলেশের দল পাঁচটি আসনে জিতলেও জয়ন্তের ঝুলি ছিল শূন্য। বিএসপি জিতেছিল ১০টিতে, তার আগে ২০১৪ সালে একা লড়েও উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল সমাজবাদী পার্টি। বিএসপি একটিতেও জেতেনি।
অন্য দিকে, ২০১৪-য় উত্তরপ্রদেশে সনিয়া এবং রাহুল গান্ধী জিতলেও ২০১৯-এ অমেঠীতে রাহুল হেরে যান। রায়বরেলীতে জেতেন শুধু সনিয়া। এই পরিস্থিতিতে ‘দুর্বল’ কংগ্রেসকে অখিলেশ শেষ পর্যন্ত গোটা পনেরো আসন ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে কংগ্রেসের আসনরফার দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ নেতার কমিটির অন্যতম সদস্য সলমন খুরশিদ সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে আসন সমঝোতার জন্য আলোচনা করেছিলেন।
মহারাষ্ট্রের রাজ্যসভা সাংসদ মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে খুরশিদ ছাড়া রয়েছেন, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল এবং এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র মোহন প্রকাশ। চলতি সপ্তাহে ওই কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল অখিলেশের প্রতিনিধিদের। তার পরেই তাঁর এই এক্স-বার্তা। যদিও ১১টি আসন ছাড়ার প্রস্তাব নিয়ে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের বড় অংশেরই আপত্তি রয়েছে বলে এআইসিসি সূত্রের খবর।