সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে অজিত পওয়ার। বুধবার মুম্বইয়ে। পিটিআই
বরফ গলার আভাস ছিল গত কাল সকালেই। অজিত পওয়ার তখনও মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। তবু কাকা শরদের আমন্ত্রণে সকাল-সকাল বৈঠকে বসেছিলেন ভাইপো। এনসিপি সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে শরদ তাঁকে বোঝান, বিধায়কদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকেই। কাজেই ভোটাভুটি হলে মুখ পুড়বে অজিতের। তাই ঘরে ফিরে আসতে অজিতকে প্রস্তাব দেন শরদ।
আজ শেষ পর্যন্ত সেই ‘ঘর ওয়াপসি’ই হল অজিতের। দাদাকে গলা জড়িয়ে অভ্যর্থনা জানালেন খুড়তুতো বোন— শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। এনসিপি নেতৃত্ব মনে করছেন, পওয়ার পরিবারে যে ক্ষমতার লড়াই গত কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছিল, তারও হয়তো ফয়সালা হয়ে গেল আজ। কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হল শরদেরই। এবং অজিতের ‘পরাজয়ে’ ভবিষ্যৎ মরাঠা রাজনীতিতে আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে এগোলেন সুপ্রিয়া।
গত কাল উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকেই অজিত বার্তা দিতে শুরু করেন, তিনি এনসিপি-তে আছেন। সন্ধেয় দলীয় বৈঠকেও যেতে চান। যদিও তাঁকে সে সময়ে অপেক্ষা করতে বলে দল। রাতে ফের এক দফা শরদের সঙ্গে দেখা করেন অজিত। সূত্রের খবর, সেখানেই ঠিক হয়, আজ বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গেই শপথ নেবেন অজিত।
আজ বিধানসভায় দল নির্বিশেষে বিধায়কদের অভ্যর্থনার দায়িত্বে ছিলেন সুপ্রিয়া। অজিতকে ঢুকতে দেখে জড়িয়ে ধরেন তিনি। শপথ নেওয়ার পরে অজিত সন্ধেবেলায় এনসিপি বিধায়কদের বৈঠকেও যান। এর মধ্যেই দাবি করেন, তিনি যা করেছেন তা আদৌ বিপ্লব নয়। তিনি দল-বিরোধী কিছু করলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু তা হয়নি।
তবে বিজেপির সঙ্গে সাময়িক হাত মেলানোয় রাজনৈতিক ক্ষতিই হল অজিতের। তিন দলের জোট সরকার হলে এমনিতেই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এক নম্বরে থাকতেন তিনি। ঘুরপথে সেই পদ পেয়েও হারালেন। আপাতত দলে তিনি শুধুই এক বিধায়ক। ছগন ভুজবলের মতো নেতারা অজিতকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও, সদ্য ঘা-খাওয়া কাকা শরদ কতটা রাজি হবেন তা এখন দেখার।