অজিতকে পরিষদীয় দলনেতার দায়িত্ব থেকে যে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে, সে কথা সকালেই জানিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। ছবি: পিটিআই।
এনসিপির পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অজিত পওয়ারকে। শনিবার সন্ধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে এ দিন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট। শীর্ষ আদালতের কাছে একটি আবেদনে তাদের দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুক দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকার।
এ দিন মুম্বইতে এনসিপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। তাতে স্থির হয়, অজিত পওয়ারের পরিবর্তে দলের পরিষদীয় নেতার দায়িত্বভার সামলাবেন জয়ন্ত পাটিল।
৬০ বছরের অজিতকে পরিষদীয় দলনেতার দায়িত্ব থেকে যে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে, সে কথা এ দিন সকালেই জানিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তবে তাতে পরিষদীয় দলের সদস্যদের সিলমোহরের প্রয়োজন ছিল। সন্ধ্যার বৈঠকে অজিতকে সরানোর বিষয়ে সায় দেন পরিষদীয় দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় অজিত কি দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন?
আরও পড়ুন: অজিতের পিছলে যাওয়ার নেপথ্যে কি শরদেরই নকশা? সন্দেহ কাটছে না কংগ্রেসের
জোটের দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুক দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকার। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
এ দিন সাতসকালেই রাজভবনে গিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অজিত। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর অজিতের এই পদক্ষেপ যে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, তা জানিয়ে দেন অজিতের কাকা তথা দলের প্রধান শরদ। এই সিদ্ধান্তে যে দলের সমর্থন নেই, সে দাবিও করেন তিনি। দুপুরে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে সঙ্গে নিয়ে শরদ আরও জানান, দল থেকে অজিতকে বহিষ্কারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তা হবে সর্বসম্মতিক্রমে।
অজিতের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির ‘স্বেচ্ছাচারী’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন শরদরা। শনিবার রাতেই সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আশা জোটের। ওই আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সরকার গঠনের জন্য বিজেপি তথা দেবেন্দ্র ফডণবীসকে ‘উদ্দেশ্যমূলক ভাবে’ আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। জোটের দাবি, প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়মের বিরুদ্ধে এ কাজ করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আবেদন করা ছাড়াও ভাইপো অজিতের বিধায়ক ভাগ্য নিয়েও সন্দিহান শরদ পওয়ার। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর অজিতের সিদ্ধান্তকে তিনি অনিয়ম বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, অজিত এবং তাঁর সঙ্গে যে সমস্ত বিধায়ক রয়েছেন, তাঁরা সকলেই দলবিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন।