অজিত যোগী। ফাইল চিত্র।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ছত্তীসগঢ়ের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগী (৭৪)। রাইপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
যোগীর মৃত্যুর খবর টুইটারে জানান তাঁর ছেলে অমিত যোগী। তিনি বলেন, “২০ বছরের ছত্তীসগঢ় ও তার বাসিন্দারা এক পিতাকে হারাল।” গত দু’সপ্তাহের মধ্যে পর পর দু’বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন যোগী। তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
যোগীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি টুইট করে বলেন, “ছত্তীসগঢ়ের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর মৃত্যুর খবরে আমি মর্মাহত। এক জন দক্ষ প্রশাসক যিনি রাজ্য এবং রাজ্যবাসীর উন্নতির কাজ করে গিয়েছেন। তাঁর পরিবার, আত্মীয় বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”
শোক প্রকাশ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তিনি বলেন, “ছত্তীসগঢ়ের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।” শোকজ্ঞাপন করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বান, রাজস্থানের মুখ্যন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু।
এক জন আমলা থেকে রাজনীতিক হয়ে উঠেছিলেন অজিত যোগী। প্রথমে এক জন আইপিএস ছিলেন তিনি। পরে আইএএস হন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতা। মধ্যপ্রদেশের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিংহ যোগীকে রাজনীতিতে আনেন। রাজনীতিক মহলে অত্যন্ত ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন হিসেবে পরিচিত ছিলেন যোগী। ২০০০ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৩-এর নভেম্বর পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। ২০০৪-এ লোকসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন যোগী। কিন্তু সে সময় এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। সেই দুর্ঘটনায় তাঁর কোমরের থেকে নীচের অংশ অকেজো হয়ে যায়। পুরো সময় হুইল চেয়ারই ছিল তাঁর সঙ্গী। সেই নির্বাচনে ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়বে? ঘোষণা হতে পারে কাল, মোদী-শাহ বৈঠকে আলোচনা
আরও পড়ুন: চিন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথাই হয়নি ট্রাম্পের, জানাল সরকারি সূত্র
এর পর ২০০৮-এ বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ান। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী রমন সিংহের কাছে হেরে যান। ২০১৪-য় লোকসভা নির্বাচনেও হারেন যোগী। এর পর ২০১৬-য় কংগ্রেস ছেড়ে আলাদা দল গঠন করেন তিনি। দলের নাম দেন জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ় (জে)।