ফাইল ছবি।
আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরায় চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার প্রচারে মঙ্গলবার আগরতলায় রোড শো ও জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতায় বিজেপিকে তুমুল আক্রমণের পাশাপাশি বিঁধলেন ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে। ঘটনাচক্রে, অভিষেক যখন আগরতলায় মোদী সরকারকে বিঁধছেন, ঠিক তখনই কালীঘাটে তাঁর বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’-এ স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
ত্রিপুরায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক। বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের স্লোগানকে কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘এটা আসলে ডবল চোরেদের সরকার। দিল্লি ও ত্রিপুরা— দু’জায়গাতেই চুরি কর ইচ্ছেমতো, ইডি, সিবিআই—কেউ ধরবে না, কেউ পিছনেও লাগবে না।’’ এই প্রসঙ্গেই অভিষেক টেনে আনেন সিবিআই-ইডি প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘আমি আজ ত্রিপুরা আসব, এটা যখনই শুনেছে, আমার স্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে। তুমি নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দল! বিজেপিকে প্রশ্ন করি, এত ভয় কেন? আমাকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল। ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমি তাতে থোড়াই ডরাই!’’ ত্রিপুরা জয়ে তৃণমূলের সংকল্পের কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘যতই ধমকাও, চমকাও, এক বার ত্রিপুরায় যখন ঢুকে পড়েছি, তোমাকে রাজ্য ছাড়া না করে বসব না। ত্রিপুরায় পরিবর্তন হবেই। এটা ত্রিপুরাবাসী বনাম বিজেপির লড়াই।’’ ২০ জুন আবার ত্রিপুরায় আসবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ভাইরাসের নাম যদি হয় বিজেপি, তাহলে তার একমাত্র টিকার নাম তৃণমূল। বাংলায় প্রমাণ পেয়েছেন, এ বার ত্রিপুরার পালা।’’
এ দিন কংগ্রেসকেও কটাক্ষে বিঁধেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের কী দুরবস্থা! পুরসভায় ২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাদে গিয়ে জয়েন করাচ্ছে। কংগ্রেস বা সিপিএমকে দিয়ে আপনার অমূল্য ভোট নষ্ট করবেন না।’’
বিজেপিকে প্রচার সর্বস্য বলে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি হল ভাঙা অডিও ক্যাসেট। যা শোনা যায়, কিন্তু দেখা যায় না। আর তৃণমূল হল হাই কোয়ালিটি ডিভিডি। শোনা যায়, স্পষ্ট দেখাও যায়।’’ ত্রিপুরায় বিজেপি গুন্ডারাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। বলেন, ‘‘তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনুন। আজ যে বাইক বাহিনী আপনাকে ধমকে-চমকে রাখছে, কাল তাদের দিয়ে আপনার দুয়ারে সরকারের ফর্ম পূরণ করাতে না পারলে আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। দুয়ারে গুন্ডা বন্ধ হয়ে দুয়ারে সরকার চালু হবে। মনে রাখবেন, তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।