কার্গিলের যুদ্ধ হয়েছিল এখানেই। ছবি: সংগৃহীত।
২৫ বছর আগের কার্গিল যুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলি ফিরে দেখলেন রঘুনাথ নাম্বিয়ার। ভারতীয় বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিরাজ ২০০০ জেটগুলির সঙ্গে পাকিস্তানি বায়ুসেনার এফ-১৬ বিমানের মুখোমুখি হওয়ার রুদ্ধশ্বাস গল্প ভাগ করে নিলেন।
এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম্বিয়ার বলেন, ‘‘সে সময়ে এক বার প্রায় তিরিশ সেকেন্ড ধরে একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের উপর নজর রেখেছিলাম। যে মুহূর্তে বিমানটি আমাদের রাডারে ধরা পড়ে, আমরা তখনই পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি হই। বিপদ বুঝে ওরা বিমানের মুখ ঘুরিয়ে নেয়।’’ ঘটনার সময়ে দুই বিমানের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩৫ কিমি। ওই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি বিমান ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়তে পারত।
ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে এফ-১৬ বিমানের ‘রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার’ (আরডব্লিউআর) প্রযুক্তি ছিল। এই প্রযুক্তিতে ধরা পড়ে ভারতীয় বিমানের ধারেকাছে কোনও এফ-১৬ বিমান রয়েছে কি না। এই প্রযুক্তিই নাম্বিয়ারদের জানিয়ে দেয়, পাক এফ-১৬ টি ওই ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে তাদের রাডারের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে সোজাসুজি তাদের দিকে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মুখ ঘোরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা টের পাওয়া মাত্রই পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান মুখ ঘুরিয়ে পলায়ন করে। এ রকম বেশ কয়েক বার ঘটেছে।
অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল ডিকে পট্টনায়ক যোগ করেন, ‘‘আমাদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া ছিল, আকাশপথে কোনও রকম বিপদসঙ্কেত দেখলেই আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে। যদি প্রতিপক্ষ পিছু না হটে, তা হলে অপেক্ষা না করে আক্রমণ করারও ছাড়পত্র দেওয়া ছিল।’’ তবে, অপর পক্ষ নিষ্ক্রিয় থাকলে আক্রমণ প্রত্যাহারের নির্দেশ ছিল। নিষেধাজ্ঞা ছিল নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাক বিমান ধাওয়া করার ক্ষেত্রেও।
এয়ার মার্শাল নাম্বিয়ার ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম পাইলট, যিনি টাইগার হিলে পাকিস্তানি পোস্টের উপর লেজ়ার-চালিত বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে পাক সেনার অধীনে থাকা পোস্টগুলি পুনরুদ্ধারে এই আক্রমণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।