বিমান-বিভ্রাট। প্রতীকী ছবি।
বিদেশে বিমান-বিভ্রাট। আমেরিকার নেওয়ার্ক থেকে ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যে-উড়ানের দিল্লি পৌঁছনোর কথা ছিল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায়, জ্বালানি লিকের ফলে সেটি স্টকহোমে আটকে পড়েছে। তার জেরে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরে, আজ, শুক্রবার সকালে বিকল্প হিসেবে মুম্বই থেকে পাঠানো বিমানে সেই যাত্রীদের দিল্লিতে পৌঁছনোর কথা।
টাটাদের হাতে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়া ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে দাবি করা হলেও এই ঘটনায় ওই সংস্থার পেশাদারি নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ, ওই বিমানের যাত্রীদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁদের আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, নেওয়ার্ক থেকে ওড়ার সাড়ে সাত ঘণ্টা পরে বিমান থেকে তেল লিকের সঙ্কেত পেয়ে পাইলট স্টকহোমে জরুরি অবতরণ করেন। স্টকহোম বিমানবন্দরে চেয়ারে বসে ৩০ ঘণ্টা কাটানোর পরে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে শিল্পী ঝা জানান, তাঁর ৬৪ বছরের মা ইন্দু ও বোন ওই উড়ানের যাত্রী। “মায়ের থেকেও বয়স্কেরা ওই উড়ানে ছিলেন। সামান্য স্যান্ডউইচ খেয়ে তাঁদের চেয়ারে বসে ৩০ ঘণ্টা কাটাতে হয়েছে,” বলেন শিল্পী।
কেন এই অব্যবস্থা?
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, স্টকহোম থেকে তাদের উড়ান নেই, পরিকাঠামোও নেই। তাই যাত্রীদের হোটেলে নিয়ে যেতে সময় লেগেছে। সে-দেশের ভিসা না-থাকায় হোটেলে স্থানান্তরিত করতে সুইডেনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি পেতে অনেক সময় লেগে যায়। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে সংস্থার অফিসারদের পাঠানো হয় স্টকহোমে। বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে একটি খালি বিমান গিয়েছে যাত্রীদের আনতে।