শঙ্কর মিশ্রকে ধরতে মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করায় অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র কি বেঙ্গালুরুতে গা ঢাকা দিয়েছেন? শেষ পাওয়া তাঁর অবস্থান থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই দু’টি দল গঠন করে একটি মুম্বইয়ে এবং অন্যটি বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়েছে তারা। কিন্তু শঙ্করের হদিস মেলেনি। তা হলে শঙ্কর গেলেন কোথায়? এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর শঙ্কর বেঙ্গালুরুতে বোনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এই খবর পেয়েই সেখানে একটি দল পাঠায় দিল্লি পুলিশ। শঙ্করের বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে শঙ্কর যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তাই আগেভাগেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারির বন্দোবস্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।
এক দিকে বেঙ্গালুরুতে শঙ্করের বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, অন্য দিকে, মুম্বইয়ে তাঁর বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শঙ্করকে খুঁজে পেতে বেঙ্গালুরুতেই তদন্তকারী দলটি থাকবে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। তবে পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, তারা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন শঙ্করের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এবং সে বিষয়েও কাজ করা শুরু করে দিয়েছে তারা।
গত ২৮ ডিসেম্বর শঙ্করের বিরুদ্ধে দিল্লির পালাম থানায় মামলা দায়ের করে এয়ার ইন্ডিয়া। তার পর থেকেই পলাতক শঙ্কর। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, মুম্বইতেই রয়েছেন শঙ্কর। কিন্তু সেখানে গিয়ে পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায়নি। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শঙ্কর। পুলিশ সন্দেহ করেছিল, উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যেতে পারেন অভিযুক্ত। তার মধ্যেই পুলিশের কাছে তথ্য আসে যে, শঙ্কর বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন।
পুলিশ এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের পাইলটদেরও ডেকে পাঠিয়েছে। এমন কাণ্ড ঘটার পরেও কেন পাইলটরা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানালেন না, কেনই বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করলেন না, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র বলছে, পাইলটরা যদি সময়মতো বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতেন, তা হলে দিল্লি বিমানবন্দরে নামা মাত্রই শঙ্করের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু তা না করায়, নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর ছেড়েছেন অভিযুক্ত।
গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে এক বৃদ্ধার গায়ে মত্ত অবস্থায় প্রস্রাবের অভিযোগ উঠেছে শঙ্করের বিরুদ্ধে।