প্রতীকী চিত্র।
যাত্রীরা পৌঁছেছিলেন নির্দিষ্ট সময়েই। কিন্তু তাঁদের বেশির ভাগের মালপত্র পৌঁছতে লাগল প্রায় বাড়তি একটা দিন। এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বই থেকে কলকাতা উড়ানের এমনই মহিমা! ফলে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রীতিমতো হয়রান হলেন যাত্রীদের একাংশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা। বিমানে মুম্বই থেকে কলকাতায় নেমে বিমানবন্দরের ‘লাগেজ বেল্ট’-এর দিকে যাওয়া পর্যন্তও যাত্রীরা জানতেন না, তাঁদের জন্য কী অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে। জিনিসপত্র এসে না-পৌঁছনো পর্যন্ত তাঁরা বুঝতেও পারেননি কী বিভ্রাট! এর পরেও যাত্রীদের জানানো হয়, বিশেষ কারণে বিমানের নিরাপত্তার কথা ভেবেই কয়েক জন যাত্রীর মালপত্র বিমানের ‘কার্গো’ থেকে মুম্বইয়েই নামাতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। সেই রাতে কবে তাঁদের জিনিসপত্র এসে পৌঁছবে বিমান সংস্থার তরফে সেটুকুও কেউ বলতে পারেননি। তবে শনিবার সকালে তাঁদের কেউ কেউ ফোন পান। বলা হয়, বাক্সটাক্স সব আসবে দুপুর দু’টোর পরে। শেষমেশ বিকেলের পরে তাঁরা জিনিসপত্র সব ফেরত পান বলে যাত্রীরা কেউ কেউ জানিয়েছেন।
কেন এমন বিভ্রাট? এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্রের দাবি, ‘‘অনেক সময়ে গন্তব্য স্থানটিতে কুয়াশা বেশি থাকবে আঁচ করে আকাশে বাড়তি সময়ে কাটানোর সম্ভাবনা মাথায় রেখে বাড়তি জ্বালানি নিতে হয়। তখন বিমানের ওজন বেড়ে যাচ্ছে দেখে যাত্রীদের জিনিসপত্র নামিয়েও রাখা হতে পারে।’’ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বিমান থেকে নামার যাত্রীদের সঙ্গেসঙ্গে কেন সমস্যাটি জানানো হল না। তাতে অন্তত মাঝরাতে চরম অসুবিধে ও বিরক্তিতে প্রলেপ পড়তে পারত। এয়ার ইন্ডিয়া-র তরফে এ বিষয়ে সজাগ থাকার খামতিটুকু অবশ্য স্বীকার করা হচ্ছে। ওই বিমানের দুই যাত্রী রত্নাবলী রায় এবং অঞ্চিতা ঘটকও বিমানবন্দরে বিমানকর্মীদের ব্যবহারে তিতিবিরক্ত। কিছু জরুরি জিনিস কার্যত এক দিন বাদে এসে পৌঁছনোয় তাঁরা সমস্যায় পড়েছিলেন। যাত্রীরা বলছেন, বিমানে কলকাতায় থাকেন না এমন কয়েক জন যাত্রীও রাতে জিনিসপত্র না-পেয়ে সঙ্কটে পড়েছিলেন। অবস্থা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিমানকর্মীদের ব্যবহার ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলেই তাঁরা মনে করছেন।