—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিমান থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে হুইলচেয়ার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষা টাকা জরিমানা করা হল।
১৬ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছিল ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ়) নোটিস পাঠিয়েছিল। সাত দিনের মধ্যে তাদের জবাব জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নোটিসে। এয়ার ইন্ডিয়া সেই জবাব জানানোর পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ডিজিসিএ। তার ভিত্তিতে সংস্থাকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল।
বিমান সংস্থার তরফে শোকজ় নোটিসের জবাবে জানানো হয়েছিল, বৃদ্ধের স্ত্রীর জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কর্মীরা তাঁর জন্য অন্য একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করছিলেন। সে সময় তাঁকে অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে যখন হইলচেয়ারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন বৃদ্ধা তাঁর পাশে হাঁটতে শুরু করে দেন। এয়ার ইন্ডিয়া আরও বলে, ‘‘১২ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বই পৌঁছেছিলেন প্রবীণ স্বামী-স্ত্রী। অভিবাসনের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবীণ। তাঁর স্ত্রী হুইলচেয়ারে বসেছিলেন। সে সময় যথেষ্ট হইলচেয়ার ছিল না। প্রবীণকে অনুরোধ করা হয়েছিল, দ্বিতীয় হুইলচেয়ার না আনা পর্যন্ত তিনি যেন অপেক্ষা করেন। তিনি স্ত্রীর পাশে হাঁটতে শুরু করেন।’’
সংস্থার এই যুক্তি শুনে ডিজিসিএর তরফে জানানো হয়েছে, প্রবীণ এবং ভিন্ন ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য যে নীতি রয়েছে, তা লঙ্ঘন করেছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা। ১৯৩৭ সালের এয়ারক্রাফট আইনের সেই ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তার পরেই সংস্থাকে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত। এর পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়াকে যথেষ্ট সংখ্যক হুইলচেয়ার রাখতেও বলেছে ডিজিসিএ।