নিহত ছাত্র যশ মিত্তল। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ছাত্র। বাড়িতে বার বার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। অবশেষে তদন্তে নেমে সেই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মাঠে পোঁতা ছিল সেই দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে গিয়ে ঝামেলা হয়। তার জেরেই খুন করা হয়েছে ছাত্রকে। হরিয়ানার ঘটনা।
নিহতের নাম যশ মিত্তল। তাঁর বাবা ব্যবসায়ী। নয়ডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। সোমবার হোস্টেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান যশ। বাবা দীপক পুলিশকে জানান, ছেলের জীবনের বিনিময়ে ৬ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছে তাঁর কাছে।
পুলিশ তদন্তে নেমে যশ যে হোস্টেলে থাকতেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তাতে দেখা যায়, গত সোমবার রাতে হোস্টেল থেকে বার হচ্ছেন যশ। মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন তখন। তাঁর ফোনের কলরেকর্ড ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, রচিত নামে এক জনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তদন্তে জানা যায়, রচিত, শিবম, সুশান্ত, শুভম— এই চার জনের সঙ্গে প্রায়ই পার্টি করতেন যশ।
পুলিশ আধিকারিক সাদ মিয়াঁ খান জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় গজরোলার এক মাঠে যশকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বন্ধুরা। সেখানে ছিল পার্টি। যশ সেখানে পৌঁছন। সেই পার্টিতেই ঝামেলা হয়। ওই চার জন যশকে খুন করে তাঁর দেহ মাঠে পুঁতে দেন। সাদ জানিয়েছেন, রচিতের বলে দেওয়া জায়গায় গিয়ে যশের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দাদরি থেকে রচিত, শিবম, সুশান্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুভম এখনও ফেরার। তাঁর খোঁজ চলছে। ধৃতেরা জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, যশের পরিবারকে বিপথে চালনার জন্যই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হচ্ছিল।