দু’ বছর আগে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে বিমানটি।
দু’বছর আগে কেরলের কারিপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সেই রাতে আহত যাত্রীদের দুর্গম উপত্যকা থেকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয়রাই। এ বার ওই উদ্ধারকারীদের জন্য এলাকায় হাসপাতাল গড়তে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহতদের পরিবার।
অনুদানের টাকা দিয়ে একটি সরকারি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য বাড়ি তৈরি করা হবে। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে আর কোনও সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবার জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা তাঁরা পেয়েছিলেন, তার থেকে এই অনুদান দিয়েছেন। স্থানীয়দের কৃতজ্ঞতা জানানোর উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
৭ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনার দু’বছর পূ্র্তি ছিল। সেদিনই কোঝিকোড়ের জেলাশাসকের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৈরি ফোরাম। মালাবার ডেভেলপমেন্ট ফোরামের অধীনে তৈরি হয়েছিল এই মঞ্চ। দুর্ঘটনার দিন বিমান সওয়ার ১৮০ জন যাত্রীর পরিবার অনুদান দিয়েছে। ফোরামের এক সদস্য জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আট কিলোমিটার দূরে ছিল সরকারি হাসপাতাল। ৩০০ মিটার দূরে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও তাতে পরিষেবা ছিল না। নয়তো আরও কয়েক জন যাত্রীকে বাঁচানো যেত।
২০২০ সালের ৭ অগস্ট দুবাই থেকে কেরলের কারিপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সওয়ার ছিলেন ১৯০ জন। টেবিলের মতো ভূমিরূপে রয়েছে বিমানবন্দর। তাতে অবতরণ করতে গিয়েই পিছলে ৩৫ ফিট গভীর উপত্যকায় পড়ে যায় বিমানটি। বিমান চালক এবং সহকারী চালক-সহ ১৮ জন মারা যান।