দিল্লির এয়ার ইন্ডিয়া দফতরে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ। ছবি— পিটিআই।
ঔপচারিকতা শেষ। এয়ার ইন্ডিয়া ফিরল টাটার ঘরে। বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হল হস্তান্তর প্রক্রিয়া। সাত দশক বাদে ‘মহারাজা’-কে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত টাটা গোষ্ঠীও। আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষের আগে বৃহস্পতিবার সকালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
গত বছর অক্টোবরে এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে টাটা গোষ্ঠীর অনুসারি সংস্থা টালাস প্রাইভেট লিমিটেডকে বিক্রি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিক্রির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য প্রক্রিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটস (‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং’ বা উড়ান বাদে অন্যান্য বিষয় সামলানো হয় যে সংস্থাকে দিয়ে)-এর ৫০ শতাংশ শেয়ারও টাটা গোষ্ঠীর অনুসারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর হয়। বৃহস্পতিবার শেষ হল ১০০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং সেই সঙ্গে পরিচালন ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে তুলে দেওয়া হল টাটা গোষ্ঠীর হাতে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের লেনদেন আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্ত হল।
এর মধ্যেই বিপুল লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবনে একাধিক পরিকল্পনা নেয় টাটা গোষ্ঠী। সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখাকে পাখির চোখ করে, উড়ান শিল্পের সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আনা হয় পরিচালনমণ্ডলীতে।
বর্তমানে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ৪,৪০০টি ঘরোয়া এবং ১,৮০০টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং এবং পার্কিং স্লট রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে। দুনিয়া জুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৯০০টি এমন স্লট এয়ার ইন্ডিয়ার হাতে রয়েছে। এখন টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ১৪১টি বিমান রয়েছে। তার মধ্যে ৪২টি বিমান চুক্তির ভিত্তিতে অন্য জায়গা থেকে নেওয়া এবং ৯৯টি বিমান তাদের নিজেদের।