প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে বৃহত্তম আকাশ যুদ্ধের মহড়া শুরু হতে চলেছে চলতি সপ্তাহে। স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপনের আগে ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্যোগে ৬ থেকে ১৪ অগস্ট তামিলনাড়ুর সালুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হবে ‘তরঙ্গ শক্তি’ নামে ওই যুদ্ধ মহড়ার প্রথম পর্ব। মহড়ায় অংশ নেবে আমেরিকা-সহ অন্তত ১০টি দেশের বিমানবহর। ‘পর্যবেক্ষক’ হিসাবে হাজির থাকবে আরও ১৮টি দেশের বায়ুসেনার কর্তারা।
বায়ুসেনা সূত্রের খবর, ‘তরঙ্গ শক্তি’র দ্বিতীয় পর্ব হবে পাকিস্তান সীমান্তের অদূরে। আগামী ১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জোধপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। রাফাল, সুখোই, মিগ-২৯, মিরাজ়, জাগুয়ার-সহ ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম সারির যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রনগুলি আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ‘তরঙ্গ শক্তি’তে অংশ নেবে। থাকবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস। সেই সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহারকারী হেলিকপ্টার এবং সামরিক পরিবহণ বিমান অংশ নেবে মহড়ায়। বায়ুসেনার উপপ্রধান এয়ার মার্শাল এপি সিংহ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘মিত্র দেশগুলির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।’’
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাক সীমান্তে ‘বায়ুশক্তি’ মহড়ার আয়োজন করেছিল বায়ুসেনা। রাজস্থানে পোখরান রেঞ্জের ওই অনুশীলনে অংশ নিয়েছিল রাফাল, মিরাজ-২০০০, তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট, চিনুক এবং অ্যাপাচে হেলিকপ্টার। তেজসের পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিকে তৈরি ‘হালকা যুদ্ধ হেলিকপ্টার’ (লাইট কমব্যাট চপার) ‘প্রচণ্ড’ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড’ (হ্যাল)-এর তৈরি বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য হেলিকপ্টার ‘ধ্রুব’ অংশ নেবে ‘তরঙ্গ শক্তি’ মহড়ায়। সালুরের মহড়ায় অংশ নেবে ভারতীয় নৌসেনার মিকটুন এনকে বিমান। এয়ার মার্শাল সিংহ জানান, এফ-১৮, ইউরোফাইটার টাইফুন, ইএ-১৮-র মতো যুদ্ধবিমানের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে উপকৃত হবেন ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার পাইলটরা।