গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
ভারতীয় সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রকল্প অগ্নিপথের বিরোধিতায় দেশের এক ডজন রাজ্যে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। কোথাও ট্রেন, কোথাও স্টেশন জ্বলছে দাউদাউ করে। কোথাও আবার রাজপথে পুলিশকে লক্ষ্য করে দেদারে পাথরবৃষ্টি। বিক্ষোভের মুখে প্রকল্পে কিছু পরিমার্জনের ঘোষণাও হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তা কি বিক্ষোভ প্রশমনে যথেষ্ট? এই প্রেক্ষিতেই কড়া কথা শোনালেন বায়ুসেনা প্রধান ভিআর চৌধুরি।
এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানালেন, সেনায় নিয়োগে ইচ্ছুক যুবকরা যদি অগ্নিপথের বিরোধিতায় হিংসাত্মক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাদের। তাঁর দাবি, হিংসাত্মক আন্দোলনের বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে তরুণদের। ভিআর চৌধুরি বলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করছি। এটা সমাধানের পথ নয়। সেনায় চাকরি পাওয়ার শেষ ধাপ হল পুলিশি যাচাই (পুলিশ ভেরিফিকেশন)। সেখানে এই আন্দোলনকারীরা ছাড়পত্র না-ও পেতে পারেন।’’
এয়ার চিফ মার্শাল চৌধুরি অগ্নিপথ প্রকল্পকে একটি ভাল পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। তাঁর মতে, যে সমস্ত তরুণের এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাঁরা নিকটবর্তী সেনা ছাউনি, বায়ুসেনা ঘাঁটি বা নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে যেতে পারেন। সেখানেই তাঁরা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাবেন। বায়ুসেনা প্রধান মনে করছেন, আন্দোলনকারী তরুণরা প্রকল্প সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন না। অর্ধেক জেনেই তাঁরা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পুরো প্রকল্পটি তাঁরা বুঝতে পারলে এ নিয়ে পথে নামবেন না।
সিএএস জানাচ্ছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পটি নিয়ে গত দু’বছর ধরেই ভাবনাচিন্তা চলছে। এর উদ্দেশ্য হল, সশস্ত্র বাহিনীর গড় বয়সকে ৩০ বছর থেকে কমিয়ে ২৫ বছরে নিয়ে আসা। বায়ুসেনা প্রধান এ কথা বললেও, দেশ জুড়ে আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবারের পর শনিবারই দেশের বিভিন্ন অংশে গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও জ্বলছে বিহার। এই প্রেক্ষিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের ভবিষ্যতে সেনায় চাকরি পেতে সমস্যা হতে পারে বলে জানালেন ভিআর চৌধুরি।