আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার বিজেপি বিরোধী ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) সেই তালিকায় ছিল না। আসাদউদ্দিন নিজেই সে কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাকে বৈঠকে ডাকা হয়নি। আর ডাক পেলেও যেতাম না। কারণ, উনি (মমতা) বৈঠকে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর তৃণমূল আমাদের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলে।’’
ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহে রাজ্যসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন আসাদউদ্দিনের দলের বিধায়কেরা। তবে কেন কংগ্রেসকে নিয়ে তাঁর আপত্তি? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গুজরাতের আসন্ন বিধানসভা ভোট নজরে রেখেই ফের সুর চড়াচ্ছেন আসাদউদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিধানসভা ভোটে লড়তে চলেছে মিম। সম্প্রতি গুজরাত সফরে গিয়ে বেশ কিছু সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় প্রচারও করেছেন আসাদউদ্দিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদীর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন মিম প্রধান। গুজরাতের ভুজের একটি সভায় সম্প্রতি নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী, যোগী আদিত্যনাথ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তো ওঁরা তাঁদের জেলে ভরে দেন।’’
প্রসঙ্গত, গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগ্নেষ মেভাণী সম্প্রতি মোদীর বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে মন্তব্য করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যোগীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার অভিযোগে সাংবাদিক প্রশান্ত জগদীশ কনোরিয়া-সহ একাধিক ব্যক্তি গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাইবার সেলের নিশানা হয়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।