গুজরাত নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ল কংগ্রেসের। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশ নিয়ে টালমাটাল অবস্থা কাটেনি এখনও। তার মধ্যেই গুজরাত নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ল কংগ্রেসের। রাজ্যসভা নির্বাচন যখন শিয়রে, ঠিক সেইসময় রাজ্য বিধানসভা থেকে কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দিলেন। রবিবার স্পিকার রাজেন্দ্র সূর্যপ্রসাদ ত্রিবেদীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন তাঁরা। যদিও এই পদত্যাগের কথা স্বীকার করেনি কংগ্রেস।
রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেই সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর দেখাদেখি মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ২১ জন বিধায়কও ইস্তফা দেন। তার পরেই জ্যোতিরাদিত্যকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে বিজেপি। সে কথা মাথায় রেখেই গত কয়েক দিনে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল গুজরাত কংগ্রেসের অন্দরে। সেই মতো শনিবার ১৪ জন বিধায়ককে জয়পুরে সরিয়ে নিয়ে যায় তারা। তখন থেকেই ওই বিধায়কদের মধ্যে চার জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে জানা যায় চার জনই পদত্যাগ করেছেন। দলের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে পরে পদত্যাগ করেন আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক।
কংগ্রেসের যে পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে জেভি কাকডিয়া এবং সোমাভাই পটেলও রয়েছেন। তবে বাকি তিন জনকে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন রাজ্যে কংগ্রেসের আর এক বিধায়ক ব্রিজভাই ঠুম্মার। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘এ রকম গুজব ছড়িয়েই থাকে। কিন্তু দলের কাছে এখনও কোনও পদত্যাগপত্র পৌঁছয়নি। গতকাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সোমাভাই পটেলের। জেভি কাকডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি আমি।’’ রবিবার সন্ধ্যায় আরও ২০-২২ জন বিধায়ককে রাজস্থান নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্কে পুরভোট কবে, ধন্দে রাজ্যের সবক'টি দলই
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ, করোনা আতঙ্কে তটস্থ আইএসও
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় বিজেপির দখলে রয়েছে ১০৩টি আসন। ৭৩টি আসন রয়েছে কংগ্রেসের। বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত রাজ্যসভার জন্য তিন জনকে মনোনীত করা হয়েছে। কংগ্রেস থেকেও তিন জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গুজরাত থেকে রাজ্যসভায় চারটি আসনে নির্বাচন হচ্ছে এ বছর। তার মধ্যে দু’টি জিততে হলে কংগ্রেসের প্রয়োজন ৭৪ জনের সমর্থন। দলের বিধায়করা ছাড়াও নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেবানি তাঁদের সমর্থন করতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যসভার দু’টির বেশি আসন জিততে গেলে বিজেপির ১১১ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ঘর ভাঙা ছাড়া উপায় নেই তাদের। এই অবস্থায় পাঁচ বিধায়কের পদত্যাগে সমস্যায় কংগ্রেস।