ওমিক্রনের কারণে আর্থিক বৃদ্ধিতে কোপ? অলংকরণ: শৌভিক দেবনাথ।
চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছিল ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও)। তবে বাজেট পেশের এক দিন আগে সরকার জানাল, আগামী আর্থিক বছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি-র হার থাকবে ৮ থেকে ৮.৫০ শতাংশের মধ্যে। বার্ষিক অর্থনৈতিক সমীক্ষার এই রিপোর্ট দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
সরকারি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০২২-'২৩ আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি-র লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৮.৫০ শতাংশ। যা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত এনএসও-র সমীক্ষা থেকে প্রায় ১ শতাংশ কম। করোনাকালে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল দেশের জিডিপি। এমনকি রেকর্ড গড়ে জিডিপি নামতে নামতে মাইনাস ২৪-এ পৌঁছে গিয়েছিল। এর পর লকডাউন পরবর্তী সময়ে সামান্য অর্থনৈতিক উন্নতির আভাস মিলেছিল। গণ-টিকাকরণ এবং একই সঙ্গে দেশের একাধিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে খানিক অগ্রগতিতে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল অর্থনীতিও। তবে বাজেট পেশের এক দিন আগে ইঙ্গিত, বৃদ্ধির হার থাকবে ৮.৫০ শতাংশের সীমায়।
সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা বলছে, গণ-টিকাকরণের উপর ভর করে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। স্থিতাবস্থায় পৌঁছচ্ছে বৃদ্ধির হার। কিন্তু এর মধ্যে আছড়ে পড়েছে করোনার নয়া স্ফীতি। ওমিক্রনে আক্রান্ত সারা বিশ্বের মানুষ। বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। চাপ পড়েছে ভারতেও। বিশেষত দেশের ক্ষুদ্র শিল্প এর ফলে প্রভাবিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০-২১ আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। যদিও করোনা পূর্ববর্তী কালে আভাস ছিল, বৃদ্ধির হার থাকবে ৬ থেকে ৬.৫০ শতাংশের মধ্যে।