হরিয়ানার ছড়াচ্ছে অগ্নিপথ-বিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
বিহার, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানার পরে এ বার হরিয়ানা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে রাজ্যে রাজ্যে। পরিস্থিতি সামলাতে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত ‘অগ্নিবীর’দের চার বছরের মেয়াদ শেষের পর রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কিন্তু বিক্ষোভের আঁচ না মেটায় এ বার গুরুগ্রাম-সহ কয়েকটি এলাকায় জারি করা হল ১৪৪ ধারা।গুরুগ্রামের পাশাপাশি, আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে সমস্ত ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা।
প্রসঙ্গত, পালওয়ালে বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার সরকারি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ডেপুটি কমিশনারের বাড়িতে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের দাবি, হরিয়ানার জাঠ জনগোষ্ঠীর যুবকদের চাকরির বড় ভরসা হল ভারতীয় সেনা। চাকরিতে স্থায়িত্বের কারণে গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণরা সেনার চাকরিকে বেছে নেন। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিবীর’দের চাকরি পাওয়ার চার বছরের মধ্যেই অবসর নিতে হবে। এককালীন কিছু টাকা মিললেও থাকবে না পেনশনের ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আবার নতুন করে চাকরির সন্ধান করতে হবে। অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ভবিষ্যৎ।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে হরিয়ানার যুবকদের সেনায় যোগদানের হার বরাবরই বেশি। সেখানে আন্দোলনের সুর আরও চড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জমানাতেই ‘যোদ্ধা জাতি’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল জাঠেরা। ১৭৯৫ সালে গঠিত জাঠ রেজিমেন্টের অন্তর্গত ব্যাটেলিয়নগুলিতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ হরিয়ানার বহু যুবক রয়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।