ট্রেনে অগ্নিসংযোগ।
‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ বিহার। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে। ছপরায় একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। একটি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ২২টি ট্রেন বাতিল করল রেল। আরও ছ’টি ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে।
বাতিল করা হয়েছে ১৩২৫০ ভভুয়া রোড-পটনা এক্সপেস, ১২৫৬৭ সহরসা-পটনা এক্সপ্রেস, ১২৫৬৮ পটনা-সহরসা এক্সপ্রেস, ১৫২৮৩ মণিহারী-জয়নগর এক্সপ্রেস, ০৩২০৩ পটনা-ডিডিইউ মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৩২২৭ দানাপুর-রঘুনাথপুর মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৩২৭৮ রঘুনাথপুর-পটনা মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫২৪৩ সহরসা-সমস্তিপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫২৭৫ সহরসা-সমস্তিপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫২২১ সহরসা-সমস্তিপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫২৭৮ সমস্তিপুর-সহরসা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫৫১১ সমস্তিপুর-সোনপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫২৫৭ মুজফ্ফরপুর নরকটিয়াগঞ্জ প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৩৩৭৩ পটনা-গয়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৩৩৪০ গয়া-পটনা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৩৩৬৫ পটনা-গয়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৩৩৩৮ গয়া-পটনা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫৫৪৮ সহরসা-লহেরিয়াসরায় প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫৫৪৭ লহেরিয়াসরায়-সহরসা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫২৮৭ মুজফ্ফরপুর-রক্সৌল প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ০৫৫৩৪ জয়নগর-দ্বারভাঙা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ও ০৫৫৩৩ দ্বারভাঙা-জয়নগর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল। এছাড়াও দানাপুর ডিভিশনে আরও ছয়টি ট্রেনের পথ বদল করা হয়েছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার বক্সার, নওয়াদা, ছপরা, বেগুসরাই, আরা, মুঙ্গের, জেহানাবাদের মতো এলাকায় ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। রেলের পাশাপাশি অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। টায়ার জ্বালানো, পাথর ছোড়া, গাড়ি ও ট্রেন ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। নীতীশ কুমার সরকারের পুলিশ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে বলে খবর। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে কয়েক জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন আরা এবং জেহানাবাদে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।