অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ কমার কোনও লক্ষণই নেই। সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভের চতুর্থ দিনেও জ্বলল বিহার। সার্বিক পরিস্থিতি নজরে রেখেই ওই রাজ্যের বিজেপির নেতা-বিধায়কদের নিরাপত্তা বাড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিহারের অন্তত ১০ জন নেতাকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা পশ্চিম চম্পারণের সাংসদ সঞ্জয় জায়সবাল, দ্বারভাঙার বিধায়ক সঞ্জয় সারাওগি, বিসফির বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর।
গত বুধবার থেকে গোটা দেশে কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ওই বিক্ষোভের আঁচ এখনও রয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। গত দু’দিন ধরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় রবিবার পর্যন্ত বিহারের ১২ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করেন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু, রাজ্য সভাপতি সঞ্জয়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই সময় দুই নেতা-নেত্রীর কেউই অবশ্য বাড়ি ছিলেন না। তবে রেণুর বাড়ির ভালই ক্ষতি হয়েছে। মাধেপুরাতেও বিজেপির একটি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই বিহারে বিজেপির ১০ জন নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল অমিত শাহের মন্ত্রক। স্বরাষ্ট মন্ত্রকের এক সূত্র বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকেই বিহারের ১০ জন বিজেপি নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআরপিএফকে রাখা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় শনিবার বন্ধের মধ্যেই অশান্ত হয়ে ওঠে পটনার মসৌউঢ়ী। সেখানে রেলপুলিশের থানায় হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
অন্য দিকে, পটনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে তারেগনা স্টেশনে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, ভাঙচুর চালানো এবং রেলের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়। মুঙ্গেরের একাধিক জায়গায় দফায় দফায় পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। অন্য দিকে, জেহানাবাদেও বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।