ছবি, ভিডিয়ো দেখে জেএনইউ-র হামলাকারীদের চিহ্নিত করছে পুলিশ।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়ুয়াদের উপর মুখোশধারীদের হামলা চালানোর ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে দিল্লি পুলিশ দাবি করছে, কয়েক জন মুখোশধারীকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই কাণ্ডে পুলিশের কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। সে সব জুড়ে একটি মাত্র এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলেই দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার ভরসন্ধ্যায় হামলা। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। তবে জেএনইউর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। তবে, চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের আধিকারিক দেবেন্দ্র আচার্য বলেন, ‘‘আমরা হামলাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কয়েক জন মুখোশধারীকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। হিংসা চালানো, মারধর ও সম্পত্তি নষ্ট-সহ বেশ কিছু ধারায় দায়ের হয়েছে মামলাও।
দিল্লি পুলিশের কাছে চারটি দাবি পেশ করেছেন জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। তার মধ্যে রয়েছে, জখম পড়ুয়াদের চিকিৎসা এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি। এদিকে, ক্যাম্পাসে মহিলাদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশকে তলব করেছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ-এ এই হামলার ঘটনায় ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ একাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হন। জখম হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও। জখম হন মোট ৩৫ জন।
সোমবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বেষ্টনী পুলিশের। ছবি: পিটিআই
জেএনইউ কাণ্ডে গতকাল থেকেই দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি আঁচ করে এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রোক্টরকে তলব করেছেন মানব সম্পদ উন্নয়ন সচিব। আজ তাঁদের দু’জনকে অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।