মহারাষ্ট্রে পথ দুর্ঘটনায় আহত সাত। ছবি সংগৃহীত।
মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণে ছিল না গাড়ির গতি। জনবহুল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা মারেন একের পর এক পথচারীকে। ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে একটি তিন মাসের শিশুও রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুণের পোর্শেকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যে আবারও মহারাষ্ট্রে ঘটে গেল পথ দুর্ঘটনা। এ বার নাগপুর। পুলিশ সূত্রে খবর, মহল এলাকার জ়েন্দাতে রাত ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত মদ্যপান করেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি থেকে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে গাঁজাও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িতে মোট তিন জন ছিলেন। সকলের বয়সই ২০-এর আশপাশে। চালক-সহ তিন জনই মদ্যপান করেছিলেন। জনবহুল এলাকা দিয়ে গাড়ি চালানোর সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে পথচারীদের ধাক্কা মারেন। ভুল বুঝতে পেরে গাড়ি নিয়ে পালানোর সময়ে কয়েকটি বাইকে ধাক্কা দেন। তার পর গাড়ি ছেড়ে অভিযুক্ত তিন জন পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়েরা তাঁদের ধাওয়া করে ধরে ফেলেন।
অভিযুক্তদের মারধর শুরু করেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশবাহিনী। উত্তেজিত জনতার কবল থেকে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে এক জন মহিলা এবং এক জন পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া শিশুটিও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের আঘাত সামান্য। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে দ্বাদশের পরীক্ষার ফল ভাল হওয়ায় উদ্যাপন করতে বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্ত কিশোর। স্থানীয় একটি পানশালায় গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানে মদ্যপান করে। তার পর মত্ত অবস্থায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে পোর্শে চালাচ্ছিল সে। কল্যাণী নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারের বাইকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। সেই আবহে আবারও মহারাষ্ট্রে ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।